আজ খবর ডেস্ক- কখনও জ্বর তো কখনও সর্দি কাশি। অজানা জ্বরে ক্রমশ কাহিল হয়ে পড়ছে উত্তরবঙ্গ। ইতিমধ্যেই মৃত্যুও ঘটেছে বহু শিশুরও। উত্তরবঙ্গ মেডিকালে এক শিশুর জ্বর সর্দি নিয়ে ভর্তি হয়েছিল এক শিশু। পাশাপ্সহি অন্যান্য শিশুরাও ভর্তি ছিলেন অন্যান্য উপস্বর্গ নিয়ে। তবে বাঁচানো গেল না কাউকেই। উত্তরবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হল আরও ৭ জনের। তাও আবার মাত্র ২৪ ঘণ্টায়! এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি ৩০০ জন শিশু। বেড়েছে আতঙ্ক।
একের পর এক শিশুর মৃত্যুতে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে ৫ সদস্যের দল চিকিৎসকের দল স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ক্ষতিয়ে দেখছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ও শিলিগুড়ি হাসপাতালের পরিকাঠামো ও পরিস্থিতি।
এদিন জ্বর, সর্দি, কাশি মিল্কিয়ে পঞ্চাশজন কে ভর্তি করা হয়েছে সব মিলিয়ে সংখ্যা এখন তিনশো। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছে ৭ শিশু। কোচবিহারের শীতলকুচির বাসিন্দা ৬ মাসের এক শিশুর জ্বর-সর্দির উপসর্গ ধরা পড়েছিল এবং বাকি ৬ জনের অন্যন্য শারীরিক সমস্যা ছিল। বড়দের থেকেই আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা এমন্তাই মনে করছেন চিকিৎসক মহল।
অন্যান্য জেলা থেকেও রোগী ভর্তির জন্যে আসছেন, স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে অবিভাবকদের মধ্যে। প্রধানত জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং সর্দির মতো উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। গত ২৪ ঘন্টায় ৪৯ জন শিশু ভর্তি হয়েছে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, যার মধ্যে এআরআইতে আক্রান্ত ১৬ শিশু। মেডিক্যাল সুপার সঞ্জয় মল্লিক বলেন, বিভিন্ন কারণে মৃত্যু হচ্ছে শিশুদের। কম ওজনের পাশাপাশি, শারিরীক দূর্বলতা, হার্টের অসুখ, সেপসিসেও আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
হাস্পাতালেই রাত কাটাতে হচ্ছে অভিভাবকদের, সব মিলিয়ে দুশ্চিন্তার ও উদ্বেগের বশে রয়েছেন চিকিৎসক থেকে অভিভাবকরা।