আজ খবর ডেস্ক : টলিউড থেকে বলিউড ‘মোনালিসা’ এখন একটি পরিচিত নাম। শুধু বাংলা, হিন্দিই নয় ভোজপুরী, তামিল ও ওড়িশা ইন্ডাস্ট্রিতেও যথেষ্ট নাম রয়েছে তাঁর। সম্প্রতি একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করে টলিউডে ঝুমা বৌদি হিসেবেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। হইচই নামের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ‘দুপুর ঠাকুরপো’ ওয়েব সিরিজে ডিপ নেক ব্লাউজের ফাঁক দিয়ে উঁকি মারা ক্লিভেজে সেক্সী বঙ্গ ললনার সাজে ধরা দেয় ঝুমা বৌদি। মোনালিসার সেই আগুন আজও শিহরণ জাগায় দর্শকদের মনে। কিন্তু এবার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্দরেরে কেচ্ছা নিয়ে সরব হলেন অভিনেত্রী।

বলিউড থেকে টলিউড, সিনেমা জগতের কালো কাহিনীর গল্প সম্পর্কে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। কাস্টিং কাউচ থেকে শুরু করে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক তৈরি কথা, এই ধরনের ঘটনা আগেও প্রকাশ্যে এসেছে। এবার সেই নিয়েই ফিল্মি ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করলেন অভিনেত্রী মোনালিসা। যার দরুন ফাঁস হয়েছে একাধিক চমকে দেওয়া তথ্য !মোনালিসা একসময় ভোজপুরি ও তামিল সিনেমায় রীতিমত দাপিয়ে অভিনয় করে বেড়িয়েছেন। মনোজ তিওয়ারি থেকে শুরু করে পবন সিং এর মত অভিনেতাদের সঙ্গেও স্ক্রীন শেয়ার করতে দেখা গেছে তাঁকে। কিন্তু তারপরও বেশ কিছু বিগ্রেড ও সিগ্রেড ছবিতেও কাজ করতে হয় তাঁকে। তবে নিজের ইচ্ছায় নিচুমানের ছবিতে কাজ করতে যাননি অভিনেত্রী। তার মতে, ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে গেলে নাকি ও কাজ পেতে হলে, এই ধরনের সম্পর্ক নাকি তাঁকে তৈরী করতে হতই।

তবে ভোজপুরি ছবিতে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর একসময় ওয়েব সিরিজে কাজের জন্য কলকাতা আসেন মোনালিসা। নিজের হট অ্যান্ড সেক্সী লাস্যময়ী রূপে ওই ওয়েব সিরিজেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান অভিনেত্রী। এরপর কলকাতা থেকে বলিউডে ব্রেক পাবার জন্য মুম্বাইয়ে পাড়ি দেন তিনি। সেখানে ছবিতে অভিনয়ের জন্য সুযোগও খুঁজতে থাকেন। কিন্তু সেখানেও তাঁকে কাস্টিং কাউচের শিকার হতে হয়েছে বলে জানান অভিনেত্রী। বেশ কয়েকবার ছবির অফার দেওয়া হলেও শর্ত ছিল কাস্টিং কাউচ !

যে কারনে ছবির কাজে না করে দেন অভিনেত্রী।অভিনেত্রীর মতে, এই একই কারণে বহু ছবির অফার ছেড়ে দিতে হয়। এমনকি কেরিয়ারের শুরুতে যখন তিনি বি গ্রেড সিনেমায় কাজ করতেন , তখনও এই ভাবেই ইন্ডাস্ট্রির নোংরামির মধ্য দিয়েই ইন্ডাস্ট্রিতে আসতে হয়েছিল তাঁকে। তবে সেই কাজ পুনরায় করতে চান না মোনালিসা। এছাড়াও বক্তব্যের দরুন মোনালিসা আরও একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন। বলেন, তাঁর মতে আগে মেয়েদের কাস্টিং কাউচের শিকার হতে হত। কিন্তু এখন ছেলেদেরকেও জোর করে সম্পর্ক তৈরী করে ব্রেক পাবার চেষ্টা করতে হয়।