আজ খবর ডেস্ক- বাংলার বিজেপি বিধায়কদের দেশীয় রাজনীতির পাঠ পড়াবে দিল্লির একটি বেসরকারি সংস্থা। গত মঙ্গলবার এই নিয়ে দিল্লির এক সংস্থার কর্তা এসে বাংলার বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলে গিয়েছেন বলে খবর।
বাংলায় বিজেপির ভরাডুবি চোখে পড়ার মতন, একদিকে ‘দল বদলু’দের মতো সমস্যা অন্যদিকে বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতে বিজেপি একেবারে কোণঠাসা বঙ্গে। আর তার মধ্যে সংগঠনকে আরও শক্ত করতে এক প্রকার শিক্ষামূলক পরিকল্পনা শুরু করল বিজেপি। কীভাবে, কোন সমস্যায়, কোন সময়, কী প্রশ্ন করতে হয়, পাশাপাশি সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরতে বাজেটের তথ্যকে কী ভাবে ব্যবহার করতে হয় সেই বিষয়ে কথাবার্তা বলা হয়েছে তাঁদের সঙ্গে। আগামী জানুয়ারি মাসে বিধায়কদের দ্বিতীয় ক্লাস নিতে আসবে সংস্থার একটি দল। এই সংক্রান্ত যাবতীয় রাজনীতির পাঠ পড়াতে এদিন বাংলায় এসেছিলেন ওই সংস্থার কর্তা মানস গুব্বি।
বিজেপি শিবিরের দাবি, বিধানসভায় পরপর দুটি অধিবেশন হয়ে গিয়েছে এর মধ্যে। যে ধরনের প্রস্তাব আনা হয়েছিল তার মধ্যে এতোটুকু দাঁত বসাতে পারেননি বেশ কিছু বিজেপি বিধায়ক। যা চূড়ান্ত অভিজ্ঞতার অভাব হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছে, তাই নতুন করে পঠন-পাঠন শুরু করা হবে সেইসব বিধায়কদের। বিজেপির অনভিজ্ঞতাকে আর নতুন করে প্রশ্রয় দিতে চাইছে না কেন্দ্র। আগামী বছর বাজেট অধিবেশনে যেন কোনওভাবে কোণঠাসা না হতে পারে বিধানসভায় বিজেপির বিধায়করা, সেই জন্যই নতুন রীতিনীতি শেখানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে দল। একইসঙ্গে বিধানসভায় সরকারপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানাতে বা চেপে ধরার জন্য বিভিন্ন রকম তথ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরতে হয়, সেই বিষয়েও শেখানোর কাজকর্ম করবে এই সংস্থা। বিজেপি শিবির সূত্রে খবর, অনেকেই অনভিজ্ঞ, তার কারণ অনেক বিধায়ক এই প্রথমবার নির্বাচিত হয়ে এসেছেন। তাঁদের পক্ষে সব রকম নিয়ম কানুন জানা সম্ভব নয়, তাই এই প্রচেষ্টা।
স্বভাবতই তৃণমূলের বিধায়ক মন্ডলীতে পোড়খাওয়া রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা রয়েছেন। যেকোনও রকম প্রশ্নের উত্তর হিসেবে, তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ জবাব দিতে প্রস্তুত এবং সেই বিষয়ে বিধায়করা কোনওভাবেই খাতা খুলতে পারছেন না। তাই এবার নতুন করে পরিষদীয় মন্ত্র শেখানো হবে তাঁদের। আপাতত নতুন করে এই প্রশিক্ষণের দিকে তাকিয়ে আশাবাদী পদ্ম শিবির।