আজ খবর ডেস্ক- ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন তারপরেই পুর নির্বাচন শুরু কলকাতায়। কলকাতার পাশাপাশি হাওড়াতেও পুর নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল, তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে আপাতত কলকাতায় ১৯ ডিসেম্বর পুরভোট হবে বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল। তবে এই বিজ্ঞপ্তির পরেই সংশয় দেখা দিয়েছে তাহলে কি হাওড়াতে এখনই নির্বাচন হবে না?

২১ শে ডিসেম্বর পুরো ভোটের গণনা, বিজ্ঞপ্তি জারির সঙ্গে সঙ্গেই আজ থেকে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। কলকাতা পুরসভার ভোটে ১ ডিসেম্বর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ এবং ৪ ডিসেম্বর প্রার্থীপদ বাতিলের শেষ দিন।  পাশাপাশি, আজ থেকে জারি করা হচ্ছে আদর্শ আচরণ বিধি। কলকাতার ১৪৪ টি ওয়ার্ডেই নির্বাচন হবে ১৯ ডিসেম্বর বলে জানা গিয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান সৌরভ দাস বলেন, ‘‘কলকাতার ১৪৪ ওয়ার্ডে ভোট। ৪৭৪২ বুথ, ৩৮৫ অতিরিক্ত বুথ। ১৭০৭ প্রেমিসেস। সন্ধ্যা সাতটার পর কোন মিটিং মিছিল করা যাবে না। ছোট মিটিং এ জোড় দেওয়া হয়েছে। দরজায় দরজায় প্রচারে সর্বাধিক ৫ জন নিয়ে যেতে পারবেন। সম্ভবত ২১ তারিখ গণনা।’’

কলকাতায় পুরভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি

বিজেপি নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় হাইকোর্ট একটি মামলা করেন এবং সেখানে তিনি জানতে চান রাজ্যের অন্যান্য পুরসভাগুলিতে একসঙ্গে নির্বাচন কেন হচ্ছে না। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে হাইকোর্টে হলফনামা জমা দেওয়া হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, কলকাতায় ৮৫ শতাংশ এবং হাওড়ায় ৫৫ শতাংশ দু’টি টিকা সম্পূর্ণ হয়েছে। তাই এই দুই পুর এলাকায় প্রথম ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ধাপে ধাপে রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলিতেও নির্বাচন করা হবে। যদিও হাওড়ার ভোটের ঘোষণা এখনও করেনি কমিশন।

অন্যদিকে এও বলা হয়েছে, হাওড়ার পুরসভার ক্ষেত্রে বিন্যাসের চিন্তাভাবনা নিয়ে বিল পেশ করেছে রাজ্য সরকার এবং সেই প্রস্তাবে এখনও রাজ্যপাল সই করেননি, তাই বিষয়টি আটকে রয়েছে।

রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে বলা হয় নির্বাচন ইভিএম- এই হবে। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করানো হবে নাকি সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু চূড়ান্ত করা হয়নি। নির্বাচন কমিশনের তরফে এও জানানো হয়, সকাল সাতটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হবে। ২২শে ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *