আজ খবর ডেস্ক : অভিজ্ঞতার পাশাপাশি তারুণ্যের ছোঁয়া মিলল তৃণমূলের পুরভোটের প্রার্থীতালিকায়। আর সেই মতই তালিকা থেকে বাদ পড়ল বেশ কিছু হেভিওয়েট। তবে প্রার্থী তালিকায় নতুন মুখের সমাহারও বিশেষ লক্ষণীয়। যেমন সদ্যপ্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ভগ্নি তনিমা চট্টোপাধ্যায়কে পুরভোটে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিল তৃণমূল। যদিও সেখান থেকে বাদ পড়লেন অপেক্ষাকৃত ‘তরুণ’ মুখ সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়।

তবে, গতকাল তৃণমূলের তরফ থেকে যে প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে মন্ত্রী-বিধায়কদের বদলে লক্ষণীয় ভাবে দেখা গিয়েছে তাঁদের সন্তানদের নাম। যেমন বাদ পড়েছেন প্রাক্তন কাউন্সিলার স্মিতা বক্সি, রতন দে এবং রতন মালাকার। সেদিক থেকে দেখলে, প্রার্থী হিসেবে টিকিট পেয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের পুত্র সৌরভ বসু, তেমনই টিকিট পেয়েছেন মন্ত্রী শশী পাঁজার কন্যা পূজা পাঁজা। বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা পুরভোটের টিকিট না পেলেও, তাঁর পুত্র সন্দীপন সাহাকে প্রার্থী করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রাক্তন মেয়র পারিষদ তারক সিংহের পুত্র এবং কন্যা দুজনকেই পুরভোটের টিকিট দেওয়া হয়েছে।অন্যদিকে, সাংসদ শান্তনু সেনের নাম প্রার্থীতালিকা থেকে বাদ পড়লেও, ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তাঁর স্ত্রী কাকলি সেনকে প্রার্থী করা হয়েছে।

তৃণমূল সূত্রের খবর, এবারের পুরসভায় স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, তরুণ প্রজন্ম ও যুব সমাজের উপরই আস্থা রাখতে চাইছেন তাঁরা। সেইসঙ্গে নেতা-মন্ত্রীদের পরবর্তী প্রজন্মকেও রাজনীতির প্রতি আকর্ষিত করার প্রচেষ্টা একেবারে স্পষ্ট।

প্রার্থী হচ্ছেন বিধায়ক তথা দীর্ঘদিনের কাউন্সিলার পরেশ পাল। সেই সঙ্গে প্রার্থী তালিকায় বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়েরও নাম রয়েছে। আবারও প্রার্থী হচ্ছেন বিদায়ী কাউন্সিলার অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। প্রার্থী হচ্ছেন প্রাক্তন সিএবি কর্তা বিশ্বরূপ দে।

ওইদিন প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বাসভবনে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে চলে ম্যারাথন বৈঠক। এরপর বৈঠক শেষে কালীঘাটেই সাংবাদিক বৈঠক করে দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন পার্থ এবং সুদীপ। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, ১৪৪ টি ওয়ার্ডেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করছে তৃণমূল। যার মধ্যে তৃণমূলের প্রার্থী ১২৬ জন এবং বাকি ১৮ জন অন্যান্য প্রার্থী। সুদীপ বাবু জানান, মোট ৮৭ জন বিদায়ী কাউন্সিলরকে পুনরায় প্রার্থী করা হচ্ছে। যার মধ্যে ৮০ জন নিজের পুরনো ওয়ার্ডেই প্রার্থী হবেন। বাকি ৭ জনের ওয়ার্ড বদল হয়েছে। তবে ৩৯ জন বিদায়ী কাউন্সিলরকে যে নতুন করে প্রার্থী করা হয়নি, সেই বিষয়টিও স্পষ্ট জানিয়ে দেয় সবুজ শিবির।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *