আজ খবর ডেস্ক : তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা যেন ব্যাক্তিগত জীবনের দলিল হয়ে উঠেছে রত্নার ! বেহালা পূর্বের বিধায়ক ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সেই সূত্র ধরেই পরবর্তী সময় মন্ত্রিত্ব এবং ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের পুর-প্রতিনিধি হিসেবে কলকাতার মেয়র হন তিনি। এরপর আচমকাই স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে ও সংসার ছেড়ে বান্ধবী বৈশাখীর সঙ্গে কাছে গিয়ে, নতুন সম্পর্কে পাড়ি দেন তিনি। থাকতে শুরু করেন বৈশাখীর সাথেই। পরিবার ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই সময় বেহালাও ছেড়ে যান শোভন। কিন্তু বেহালা পূর্বে দখল কায়েম রাখে তৃণমূল। সেখান থেকে জিতিয়ে আনে শোভন স্ত্রী রত্নাকে।
অন্যদিকে, তৃণমূল ছেড়ে শোভন বিজেপিতে যোগ দিলেও, তাঁকে প্রার্থী করতে রাজি হন না গেরুয়া শিবির। ফলত গেরুয়া রাজনীতির সঙ্গেও ভোটের আগেই দুরত্ব তৈরি হয় শোভনের। তবে এতদিন পর্যন্ত ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডটি অন্তত তাঁর নামে ছিল। কিন্তু এবার সেও হাত ছাড়া হয়ে বসেছে। শোভনের পদ ছিনিয়ে নিতে তাঁর পদেই বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, শোভন ও রত্নার বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা থেকে তৈরি একাধিক বিতর্ক , মানভঞ্জন থেকে বরাবরই সমান্তরাল দূরত্ব বজায় রেখেছে তৃণমূল। কিন্তু এই কথাটি বুঝতে অসুবিধে হয়নি যে, রাজনৈতিক ভাবে সব সময়েই রত্নার পাশে থেকেছে তৃণমূল। তার প্রভাব দেখা গিয়েছিল গত বিধানসভা নির্বাচনে। সেই সময় বেহালা পূর্ব আসন থেকেও প্রার্থী করা হয় রত্নাকে। সেই আসন জিতেও আসেন রত্না। তাই এইবার পুরসভায় আবারও প্রার্থী তালিকার মধ্য দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন , যে দল রত্নার পাশেই আছে।
২০১৮ সালে আচমকাই কলকাতার মেয়র পদ থেকে সরে দাঁড়ান শোভন। তবে তখনও ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধির পদ ছাড়েননি তিনি। এমনকি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পরও ধরে রেখেছিলেন নিজের বিধায়ক পদ। তবে শোভনের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব তৈরি হওয়ার পরেই, তৃণমূলের পক্ষ থেকে রত্নাকে ওই ওয়ার্ডের সংগঠন ও কাজকর্ম দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই দায়িত্ব পালনও করে দেখান রত্না । এই টিকিট যেন তারই যেন পুরস্কার।