আজ খবর ডেস্ক- শতবর্ষের ডার্বি ম্যাচে যেন সেই ৭৫ সালের ইতিহাস ফিরে এল ফের একবার। সেইবার মোহনবাগান চূর্ণ হয়েছিল আর এদিন ইস্টবেঙ্গলকে মাটিতে মিশিয়ে দিল সবুজ মেরুন।

অনুগামীরা বেশ আশায় ছিল, সঙ্গে উন্মাদনা ছিল। ডার্বিতে লাল হলুদ পতাকা উড়বে মনে করলেও, শেষরক্ষা হল না। ম্যাচের ২২ মিনিটের মাথায় তিন গোল খেয়ে গেল লাল হলুদরা। সেইবার ৫-০ গোলে হেরেছিল মোহনবাগান আর এইবার হয়তো প্রতিশোধ নেওয়া বাকি ছিল। এতটাই চাপ তৈরি করে রেখেছিল সবুজ-মেরুন শিবির যে তিন গোল হজম পরে আর ঘুরে দাঁড়ানোর জায়গা পায়নি ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল চমক। ১২ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে রাখলেন রয় কৃষ্ণ। সেই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই আবার গোল। এ বার গোল মনবীর সিংহ-র পায়ে। যিনি গোল করলে এটিকে মোহনবাগান হারে না। ঘন ঘন আক্রমণে তখন দিক খুঁজে পাচ্ছে না লাল-হলুদ। গত বার মোহনবাগানে খেলা অরিন্দম ভট্টাচার্য কী করবেন বুঝেই উঠতে পারছেন না। মনবীরের গোলের সময় যে পোস্ট গার্ড নিয়েছিলেন, সেই জায়গা থেকে গোল খেলেন তিনি।

এদিনের এই খেলায় বারবার করে লালু হলুদের পরাজয়ের বিভিন্ন দিক উঠে আসতে আরম্ভ করে সকলের সামনে। ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্য নিজেই বারবার গোল খাওয়ার পর গোটা দল হতাশার মুখে পড়ে। বার বার এ ধরনের পরাজয়ের মুখোমুখি হওয়ার পর কোচ অবশ্য মাঠ থেকে তাঁকে তুলে নেন। পরিবর্তে মাঠে গোল রক্ষা করতে নামেন শুভম সেন। অন্যদিকে তৃতীয় গোল খেয়েছেন অরিন্দম লিস্টনের তরফ থেকে।

সব মিলিয়ে এদিন পরাজয়ের পর অনুগামীরা এবং বিশেষজ্ঞরা আঙুল তুলেছেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ ম্যানুয়েল দীয়াজের দিকে। তবে এসব কিছুর মধ্যেও কিছুটা আকর্ষণ কেড়ে নিয়েছেন পেরোসেভিচ। ম্যাচের ৫৮ মিনিটের মাথায় সামান্য একটি হেড দিয়েছেন চিমা। কাউকো, মনবির সিংহরা দুর্দান্ত তৈরি হয়ে নেমে ছিলেন তাঁদের কোচ হাবাসের নেতৃত্বে। গোপন প্রশিক্ষণ এবং নানা কায়দায় কিভাবে পুরনো ইতিহাস টেনে তার বদলা নেওয়া যায় তা হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন হাবাস।

মোহনবাগানের এই বিশাল জয়ের পর মদন মিত্র বলেন ইস্টবেঙ্গল ‘হ্যান্ডিক্যাপ’ হয়ে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের স্পন্সর জোগাড় করে না দিলে আর কোনও মাঠে খেলার সুযোগ পেতেন না। পাশাপাশি তিনি বলেন, তবুও এটা ভাল খবর ইস্টবেঙ্গল একটা জায়গায় এসেছে এবং নিজেদের প্রমাণ করার জন্য তারা খেলার সুযোগ পাচ্ছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *