আজ খবর ডেস্ক- রত্না চট্টোপাধ্যায়কে বাড়ি ছাড়ার নোটিস দিলেন বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়। শনিবার পুরসভার নির্বাচনের জন্য টিকিট পেয়েছেন রত্না, আর তার পরই হাতে এল নোটিস।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ শে সেপ্টেম্বর সামনে উঠে আসে এক চাঞ্চল্যকর খবর। ১৩৯ ডি/৪ মহারানি ইন্দিরা দেবী রোডের বাড়িটি শোভন চট্টোপাধ্যায় বিক্রি করে দিয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। যদিও সেই সব বিষয়ে আমল দিতে চাননি রত্না চট্টোপাধ্যায়। তিনি সাফ দাবি করেন, বাড়ি বিক্রির কাগজপত্র দেখাতে হবে তাঁকে। এককথায় বাড়ি বিক্রির যাবতীয় নথি এবং বিক্রি করার পদ্ধতি জানাতে হবে রত্নাকে।
বেহালা পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়কা রত্না চট্টোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেছেন, মামলা চালানোর যাবতীয় খরচ ইত্যাদি আর জোগাতে পারছেন না শোভন, তাই বাধ্য হয়ে তাঁর দুই বাড়ির মধ্যে একটি বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন বৈশাখীর কাছে। যদিও এই বিষয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান বন্ধু হিসেবেই তাঁর একটি বাড়ি কিনেছেন তিনি, অন্য কোনও ব্যাপার নেই। বৈশাখীর দেওয়া নোটিস কোনভাবেই পাত্তা দিচ্ছেন না রত্না চট্টোপাধ্যায়।
রত্না চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বাবা দুলাল দাস ও ভাই শুভাশিস দাসকে আইনি নোটিস পাঠানোর পরেও কোনও সদুত্তর পাননি শোভন বলে দাবি। অন্যদিকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আয় হিসেবে একমাত্র মহেশতলার গোডাউন সম্বল শোভনের। গত জুলাই মাসে শোভন চট্টোপাধ্যায় তাঁর সব সম্পত্তি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেন। এরপর সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর দুই বাড়ির মধ্যে একটি বাড়ি বিক্রি করে দেওয়া হয় বৈশাখীর কাছে। তবে শোভন ঘনিষ্ট মোহন সূত্রে জানা গিয়েছে, বেহালা পর্ণশ্রীর ওই বাড়ি, শোভনের পৈতৃক সম্পত্তি। এভাবে তা বিক্রি করা যায় না। এরপর আইনি নোটিস মোতাবেক কি পদক্ষেপ নেন শোভন বৈশাখী, সেই দিকেই এখন দেখার।