আজ খবর ডেস্ক- ভারতে অধিকাংশ মানুষই ডায়াবেটিস রোগে ভোগেন। চিকিৎসকেরা বলে থাকেন ডায়াবেটিস পুরোপুরি সেরে ওঠেনা। তবে বেশ কিছু নিয়ম কানুনের মধ্যে থাকতে হয় ডায়াবেটিস রোগীদের।বিভিন্ন রকম এক্সারসাইজ তো রয়েছেই, তার সঙ্গে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল খাওয়া দাওয়া। মিষ্টি রয়েছে এমন ধরনের খাবার একেবারেই খাওয়া চলবে না রোগীদের জন্য।

সকালের জলখাবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। কারণ দিনের প্রথম খাবার ওই সময় খাওয়া হয় সকলের তাই নিয়ম মানতে হলে জলখাবার থেকেই শুরু করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ডায়াবিটিক রোগীর আদর্শ ডায়েটের ৫০ শতাংশ হবে ফল ও আনাজ। ২৫ শতাংশ থাকতে হবে কার্বোহাইড্রেট এবং বাকি ২৫ শতাংশ থাকবে প্রোটিন। প্রাণীজ প্রোটিনের মধ্যে মাছ, চিকেন ও ডিম খাওয়া যেতে পারে। নিরামিশাষীদের জন্য পনির, সয়াবিন, ডাল উপকারী। ডায়েটে টক দই আবশ্যক। তবে রোগীর বয়স, লিঙ্গ, শরীরের গঠন, লাইফস্টাইলের ধরন, সুগার লেভেল এসব কিছুর উপরে নির্ভর করে ক্যালরি নির্ধারিত হয়।

টাইপ টু ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য চিন্তাভাবনা বেশি থাকা প্রয়োজন। সামান্য এদিক-ওদিক হলেই ঘটতে পারে নানা ধরনের সমস্যা। চর্বি, ভিটামিন এবং মাল্টি নিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত এই ধরনের রোগীদের। কারণ শর্করাকে ভেঙে শরীরে শক্তি যোগানোর ক্ষমতা প্রায় না থাকার কারণে শর্করার পরিমাণ রক্তে বেড়ে গিয়ে অন্য বিপদ ডেকে আনে।

এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক সকালের জলখাবার এ কি কি খাওয়া যেতে পারে।

মাল্টিগ্রেইন টোস্ট- পিনাট বাটার দিয়ে মাল্টিগ্রেইন ব্রেড খেতে পারেন রোগীরা। সাধারণ পাউরুটি দিয়ে টোস্ট খেলে তাতে চিনির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে শরীরে। তাই এই ধরনের টোস্ট খেতে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

ডিম- প্রতিদিন সকালে ডিম খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন উপাদানসহ প্রোটিন ভরপুর মাত্রায় থাকে ডিমে। তাই জলখাবারে ডিম থাকলে টাইপ টু ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য অনেকটাই নিশ্চিন্ত বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

ওট- দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে ওট। চিকিৎসকেরা বলছেন, এতে অতিরিক্ত পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজম করতে সাহায্য করে এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে অপরিহার্য।

সুগার ফ্রী সিরিয়াল – সুগার ফ্রী সিরিয়াল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সকালের জলখাবারে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য। এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক থাকে। সাধারণত চাল বা অন্যান্য জিনিস খেলে তা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় খুব তাড়াতাড়ি। কিন্তু এই ক্ষেত্রে তা নিয়ন্ত্রণে থাকবে অনেকটাই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই ধরনের সিরিয়াল কেনার আগে অবশ্যই লেভেল দেখে দিতে কারণ বেশকিছু প্যাকেটে অতিরিক্ত পরিমাণে শর্করা মেশানো থাকে যা আদতে ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে ভবিষ্যতে। বিশেষ করে সেই সিরিয়ালে প্রোটিন এবং ফাইবার থাকে না। তাই সিরিয়াল কেনার আগে অবশ্যই দেখে নিতে হবে এই ধরনের বিষয়গুলি।

এই ধরনের খাবার খাওয়া দাওয়া করলে রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং শরীরের শক্তি যোগাবে অনেকটাই। তবে নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে পরামর্শ নেওয়া উচিত। সকল রোগীর শরীর এবং এর সঙ্গে জড়িত ফ্যাক্টর গুলি এক হয় না। তাই নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *