আজ খবর ডেস্ক : আজ দিল্লিতে সংসদ অধিবেশন চলাকালীন কলকাতাতেও চলবে তৃণমূলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন তৃণমূল নেত্রী তথা দলীয় প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে সংসদে কি ভূমিকা নেবে দল, এবং দলীয় কর্মসূচি কি হতে চলেছে, সেই বিষয় গুলি নির্ধারিত করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।দলীয় সূত্রে খবর, শুধু তৃণমূলে যোগ দেওয়া রাজ্যের কিছু নেতা-মন্ত্রীও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। তাঁদের উদ্দেশ্যে সর্বভারতীয় স্তরে দলের আগামীদিনের লক্ষ্য কি হবে, সেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে বৈঠকে আলোচনার মূল কেন্দ্রে থাকবে সংসদের চলতি অধিবেশনে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের নয়া অবস্থান সুনিশ্চিত করা এবং দলীয় কৌশল নির্ধারিত করা।বিগত কিছু সময় ধরে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বাকা সুর লাগিয়েছে তৃণমূল নেত্রীর গলায়। সম্প্রতি শেষ হওয়া দিল্লি সফরেও সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেননি মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে ছিলেন – উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে তাঁরা এখন ব্যস্ত রয়েছেন , তাই দেখা করিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর কংগ্রেস প্রসঙ্গে প্রশ্ন করাতে বিরক্তিভরা জবাব, দুই দলের মধ্যকার তৈরি হওয়া আপেক্ষিক দূরত্বের চিত্রটি স্পষ্ট করে দেয়। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর রাজধানীতে পা দেওয়া মাত্রই একের পর এক শীর্ষ নেতাকে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে। তাতে এই বিষয়টি একেবারে পরিষ্কার যে, কংগ্রেস পাশে থাকুক বা না থাকুক বিজেপির বিরুদ্ধে একাই লড়াই চালিয়ে যাবে তৃণমূল।
তৃণমূল সূত্রে যেমনটা জানা যাচ্ছে, হয়তো আগামী দিনে কংগ্রেসকে কিছুটা দূরে রেখেই আঞ্চলিক দলগুলিকে সংগঠিত করার চেষ্টা করবে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে দুই দলের সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন হবে না। কংগ্রেস ও অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলির যেন কোনোভাবেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপিকে মদত দেওয়ার অভিযোগ না আনতে পারে, সেই বিষয়েও যথেষ্ট সতর্ক মমতা। তাই এদিনের বৈঠকে আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার জন্য প্রবীণ সাংসদ ও নেতাদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দিতে পারেন দলনেত্রী।
কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে তৃণমূল যে ফ্লোর কো-অর্ডিনেশনে এ যাবে না, সেই বিষয়টি গতকালই সবুজ শিবিরের তরফ থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। তাই আজ কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের বৈঠকে উপস্থিত থাকছে না তৃণমূল।