আজ খবর ডেস্ক-
ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের বিরুদ্ধে রেকর্ড ভোটে জয়ী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুর থেকে ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে জিতে জয়ের হ্যাটট্রিক করলেন তৃণমূল নেত্রী। একুশের বিধানসভা ভোটের জয়ী তৃণমূল প্রার্থীর থেকে প্রায় দ্বিগুণ ব্যবধানে জয়লাভ করেন তিনি। এই জয় তার ২০১১-র উপনির্বাচনের জয়ের ব্যবধানকেও ছাপিয়ে গেছে। ২০১১-র উপনির্বাচনে জয়ের ব্যবধান ছিল ৫৪ হাজার ২১৩। গণনায় ভবানীপুরের ৭টি ওয়ার্ডেই এগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ২১ রাউন্ড গণনার শেষে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৩৮৯ ভোট। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩২০ ভোট। সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস পেয়েছেন ৪২০১ ভোট। ইতিমধ্যেই জয় নিয়ে কথা বলতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । জানান, পশ্চিমবঙ্গের অন্য দুই উপনির্বাচন কেন্দ্রের থেকে ভবানীপুরে ভোট কম পড়েছে, সেখানকার ভোটার সংখ্যাও তুলামূলকভাবে কম, এবারে মোট ১লক্ষ্য ১৫ হাজারের মতো ভোট পড়েছে। তার মধ্যেও এই বিপুল ভোটে তাকে জয়ী করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি। সঙ্গেই পুজোর পর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের যে ৪ কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছিল তার প্রার্থী তালিকাও প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। শান্তিপুর থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন ভোজ কিশোর গোস্বামী, দিনহাটা থেকে তৃণমূলের হয়ে লড়বেন উদয়ন গুহ, খড়দা থেকে লড়বেন শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়, তবে গোসাবা থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে এখনো পর্যন্ত বাপ্পাদিত্য নস্কর ও সুব্রত মন্ডলের নাম জমা পড়েছে। তৃণমূল নেত্রী জানান খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ফল প্রকাশের আগেই সকালে ভবানীপুর ভোট গণনাকেন্দ্রে পৌঁছে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন , ‘ মানুষ কাকে ভোট দিয়েছে আমরা দেখেতেই পাবো । আমি আমার পরীক্ষা দিয়েছি। এবার মাষ্টারমশাইরা চিটিং করলে কিছু করার নেই ‘
এরপর ভোটের ফলাফলে পরাজিত হলে আবারও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ এনে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘ মানুষকে ভোট দিতে দিলে এমন ফলাফল হতো না ‘ । ওদিকে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম সাংবাদ মাধ্যমে জানান, নন্দীগ্রামে ভোট নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যে কারচুপি করা হয়েছিল ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বিপুল ভোটে জয়লাভ সেই দুর্নীতির যোগ্য জবাব দিয়েছে। রাজ্যের একাধিক জায়গাতে ইতিমধ্যেই তৃণমূল কর্মীদের তরফ থেকে জয়ের উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে।
শুধু ভবানীপুর নয় ইতিমধ্যেই সামশেরগঞ্জেও জয়লাভ করেছেন সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম। ২৬ হাজার ৬১১ ভোটে জয়লাভ করেন তিনি। জঙ্গিপুরেও এখনও পর্যন্ত ভোট গণনায় এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। সুতরাং এই মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে খুশির আমেজ তৈরি হয়েছে।