আজ খবর ডেস্ক- কোভিশিল্ডের দুটি টিকা নিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট। এমনই বিতর্কিত মন্তব্যে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের ৭৬তম সাধারণ সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা শাহিদ । একদিকে যেমন কোন ভারতীয় কভিশিল্ডের দুটি টিকা নিয়েও ব্রিটেনে গেলে সেখানে দশ দিনের জন্য নিভৃতে থাকা বাধ্যতামূলক, ঠিক সেই সুর ধরে ভারতও একই নিয়ম বহাল করেছে উল্টো পিঠে। এই নিয়েই আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্ক বিতর্কের মুখে।
কোভিশিল্ডের দুটি টিকাই যথাযথ নাকি সেই প্রশ্নে মলদ্বীপের এই রাজনৈতিক ব্যক্তি বলেন তিনি “বেঁচে গিয়েছেন”। পাশাপাশি তিনি এও বলেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে কোভিশিল্ডের টিকা ব্যবহার করা হচ্ছে।
তবে এই বিতর্কের মধ্যেই বড় একটি বিষয় উঠে আসে। পৃথিবীর অধিকাংশ টিকাই পরীক্ষা করা হয়েছে ব্রিটেনে। এমনকি কোভিশিল্ডের টিকাও বাজারে আসার আগে পরীক্ষা করা হয়েছিল ব্রিটেনেই। এর পরেও কেন ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতের টিকা নিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্কে শীতলতা দেখা যাচ্ছে তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এমনটাই মনে করছেন এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া।
একই সুরে প্রশ্ন তুলেছেন Serum Institute-এর সিইও আদার পুনাওয়ালাও। তিনি মনে করেন সব দেশের মধ্যে টিকাকরণ নিয়ে সমন্বয়ের অভাব থাকলে তা আখেরে সবারই ক্ষতি। যে সমস্ত টিকাগুলি বাজারে এই মুহূর্তে রয়েছে সেগুলো যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে অনুমোদন করিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তা স্বীকৃতি পেতে অনেকটাই এগিয়ে যাবে।
এই সমস্ত টিকাকরণের বিতর্কের মধ্যে বুস্টার ডোজ নিয়েও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে খবর।