আজ খবর ডেস্ক- ঘরের মেয়ের বিরুদ্ধে লড়তে নেমেছিলেন এলাকার ছেলে। কথা হচ্ছে কলকাতা পুরসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে। এখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী খোদ মুখ্যমন্ত্রীর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর রতন মালাকার টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ করেছিলেন। তবে এদিন তা প্রত্যাহার করে নিলেন রতন। বিরোধীদের অভিযোগ, “ধমকে চমকে ” রতনের মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়েছে তৃণমূল। রতন কী বলছেন?
৭৩ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল নেত্রীর ওয়ার্ড। এই কেন্দ্রের ৩০বি, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে থাকেন মমতা। একই বাড়িতে কাজরী ও থাকেন। অন্যদিকে দীর্ঘদিন এই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ছিলেন রতন মালাকার। তবে এবার দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয় সংবাদ মাধ্যমে অভিযোগ করেন, প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে দলের তরফে। শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহারের প্রায় শেষ লগ্নে নিজের নাম তুলে নিলেন রতন। যদিও একাধিকবার ফোন করা হলেও আপাতত এই বিষয়ে কথা বলতে চাইছেন না তিনি। রতন মালাকারের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার পরেই নাকি মনোনয়ন তুলেছেন তিনি।
এদিকে প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পরেই এলাকায় প্রচার শুরু করে দিয়েছেন কাজরী। সঙ্গে দেখা যাচ্ছে তাঁর স্বামী অর্থাৎ মমতার ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ও। কিন্তু এই পুরভোটে নির্দল কাঁটা পিছু ছাড়ছে না ঘাসফুলের। এখনও ৭২ ও ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে দলেরই দুই প্রাক্তন কাউন্সিলর দলের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন। একদিকে ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে নাম ঘোষণা হওয়ার পরেও সদ্য মৃত রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চ্যাটার্জি কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখানে প্রার্থী হয়েছেন এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখার্জি। যিনি সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। আর ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছেন এখানকার প্রাক্তন কাউন্সিলর ও কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়।