আজ খবর ডেস্ক : মাটির ভাঁড়ে চা আর সাথে আড্ডা, বাঙালি জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, কাজের চাপ, কিংবা চোখে ঘুম , বাঙালির প্রথম নির্বাচন চা। তবে বর্তমানে বাংলার বাইরেও চায়ের জনপ্রিয়তা যথেষ্ট বেড়েছে। অধিকাংশের মত, প্লাস্টিক কিংবা থার্মোকলের গ্লাসের চেয়ে মাটির ভাঁড়ে চা খাওয়া নাকি অনেক তৃপ্তির। শুধু তৃপ্তি নয় মাটির ভাঁড়ে চা খাওয়ার বেশ কিছু গুণাগুণও রয়েছে।কি সেই গুণাগুণ ?
বিশেষজ্ঞদের মতে, মাটির ভাঁড়ে চা খেলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। কারণ মাটির ভাঁড়ে চা ঢাললে তার পুষ্টিগুণ অনেকাংশে বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, মাটিতে খনিজ, ফসফরাস, আয়রন, ক্যালসিয়াম ,ম্যাগনেসিয়াম – এর মত বেশ কয়েকটি উপাদান থাকে যা শরীরের পক্ষে উপকারী।
অনেকেই পছন্দ সত্ত্বেও দুধ-চায়ের বদলে লিকার চা খেয়ে থাকেন। ভয়ে, যদি অ্যাসিডিটি হয়ে যায়। কিন্তু মাটির ভাঁড়ে দুধ চা খেলে সেই সম্ভাবনাও অনেকটা কমে যায়। কারণ মাটির ভাঁড়ে অ্যালকালাইন থাকে। যা এই সমস্যাকে দূর করে। তাই অনেক সময় হজমের সমস্যা থাকা ব্যক্তিদের ডাক্তারেরা মাটির গ্লাসে জল খাওয়ারও পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
বর্তমানে বেশিরভাগ চায়ের দোকানেই প্লাস্টিকের কাপে চা দেওয়া হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, প্লাস্টিকের কাপে গরম চা ঢাললেই রাসায়নিক বিক্রিয়া শুরু হয়। আর এই ধরনের রাসায়নিক পদার্থ শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। এছাড়া প্লাস্টিকের তুলনায় মাটির ভাঁড় অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব। এতে দূষণের সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। শিপ্রা এসেই পড়েছে। শরীর গরম রাখতেও চায়ের জুড়ি মেলা ভার।তাই এবার চায়ে চুমুক দিতে বেছে নিন মাটির ভাঁড়। তাতে পরিবেশ ও আপনি দুইই ভালো থাকবে।