আজ খবর ডেস্ক : প্রতিবন্ধী হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্র বন হুগলী প্রতিবন্ধী হাসপাতাল NILD (পূর্বতন NIOH)-এর প্রধান কার্যালয় সড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উড়িষ্যার কটকে। শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে বন হুগলীর হাসপাতালের থেকে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে প্রধান প্রতিষ্ঠানের তকমা, আর শুধুমাত্র অপেক্ষাকৃত গুরুত্বহীন শাখা অফিস করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করতে এবার পথে নামল ভারতের বাঙালির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষ উত্তর ২৪ পরগনা শহরাঞ্চল শাখা।

বাংলা পক্ষের উত্তর ২৪ পরগনা শহরাঞ্চলের জেলা সম্পাদক পিন্টু রায় বলেন – যোগাযোগ, চিকিৎসা, পরিসেবা, পরিকাঠামো এবং রোগীর সংখ্যার বিচারেও উড়িষ্যার থেকে বাংলা অনেক এগিয়ে। তবুও কেন এই ধরনের অন্যায় , অযৌক্তিক ভাবে হাসপাতালের প্রধান তকমা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টিকে কেন্দ্রীয় সরকারের চক্রান্ত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।বাংলা পক্ষের সাধারন সম্পাদক ডাঃ গর্গ চট্টোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট ভাবে ব্যাক্ত করেন যে, কি ভাবে এক একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান কার্যালয় বাংলা থেকে সড়িয়ে ওড়িশায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি জানান, ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এবং সর্বভারতীয় ক্ষেত্র থেকে কেমন ভাবে বাংলাকে ক্রমশ গুরুত্বহীন করে দেওয়ার প্রয়াস রয়েছে।সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, বাংলা থেকে এই ধরনের পুরাতন প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় সড়িয়ে নিয়ে যাওয়াটা কোন নতুন ঘটনা নয়, বরং বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার এক নয়া সংযোজন।

এবিষয় জানিয়ে রাখি, গতকাল ৩রা ডিসেম্বর বিশ্বজুড়ে প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হয়েছে। তাই ভারতের গুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতাল স্থানান্তর করাটা এই রাজ্যের মানুষের কাছে প্রতিবন্ধী দিবসটিকে অন্ধকারময় করে দিয়ে নজির গড়ল কেন্দ্র, এমনই দাবি বাংলা পক্ষের।সংগঠনের পক্ষ থেকে সাধারন সম্পাদক ডাঃ গর্গ চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষ পরিষদ সদস্য অমিত সেন, জেলা সম্পাদক পিন্টু রায়, জেলা কমিটির সদস্য সায়ন মিত্র ও অন্যান্য সহযোদ্ধারা গতকালের ওই প্রতিবাদে উপস্থিত ছিলেন।তারা পরিষ্কার করে তাদের দাবী জানান যে, কেন্দ্রীয় সরকার যদি তাদের বাংলার প্রতি বঞ্চনার একরোখা মনোভাব থেকে সড়ে না আসেন, তবে আগামীদিনে বৃহৎতর আন্দোলনের পথ বেঁছে নেবে বাংলা পক্ষ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *