আজ খবর ডেস্ক : প্রধান বিরোধীদল বিজেপি হোক বা কংগ্রেস , কিংবা বামফ্রন্ট, দলীয় মুখপত্রে বিরোধীদের সমালোচনা করা থেকে বিরতি নিচ্ছে না রাজ্যের তৃণমূল সরকার। আগেই কংগ্রেস ব্যর্থ, ইউপিএ শেষ এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে কংগ্রেসেরও দিল ধরে রাখার ক্ষমতা কমেছে বলে দাবি করেছিল সবুজ শিবির। তাঁদের মুখপত্র জাগোবাংলায় কংগ্রেস ‘ডিপফ্রিজে’ বলে তৃণমূলের একটি বক্তব্যে বলা হয়েছিল, “কংগ্রেসের মধ্যে সেই ঝাঁঝটাই কমে গিয়েছে।” সেই সঙ্গে সিপিএমকে নিশানা করে তাঁরা লিখেছিলেন, ‘‌জাদুঘরে CPM’‌।

এরপর এবার জাগো বাংলা-য় কটাক্ষের মুখে পড়ল গেরুয়া শিবির। বলা হল, ”সাম্প্রদায়িকতার বীজ বাংলার ভূমিতে পোঁতার চেষ্টা করে চলেছে গেরুয়া শিবির।”বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আঘাত হেনে আরও বলা হয়, ”বিধানসভায় সাম্প্রদায়িক শক্তিকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল মানুষ। ১৯ ডিসেম্বর তার পুনরাবৃত্তি হবে।” এই নিয়ে বিজেপির তরফ থেকে শমীক ভট্টাচার্য অবশ্য জানিয়েছেন, ”তৃণমূল কী বলল তাতে যায় আসে না। সাধারণ মানুষ বোঝেন কারা সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি করছেন। সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ নিয়েই রাজনীতিতে বিজেপি নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছে। মানুষের কথা বলে আমরা জাতীয়তাবাদের কথা বলে জনভিত্তি তৈরি করেছে বিজেপি। তৃণমূলের কথায় বিজেপির চলার পথ প্রভাবিত হবে না।”

অপরদিকে ধারাল বাক্যবাণে বিজেপিকে বিদ্ধ করে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ”বিজেপি আমাদের মুখ্য প্রতিপক্ষ। ওরা আদ্যন্ত সাম্প্রদায়িক দল। নীতিগতভাবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে। ওদের মানুষ আগেই প্রত্যাখ্যান করেছে। পুরভোটেও তাই হবে।”

প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন বিপুল ভোটে জয়লাভের পরই জাতীয় রাজনীতিতে নিজেদের প্রভাব বিস্তারে মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল। তার মধ্যেই ইতিমধ্যেই পুরভোটের ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। জোর কদমে শেষ মুহূর্তের প্রচার সারছেন সবপক্ষই। একদিকে পুরভোটে কর্মীদের হয়ে যখন প্রচারে নামতে পারেন তৃণমূলনেত্রী, তখন অন্যদিকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ বিজেপিও। সুতরাং ভোটের আবহে এই মুহূর্তে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *