আজ খবর ডেস্ক : ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকেই বাংলায় উপলব্ধ হতে পারে ZyCoV-D। ফলত কোভ্যাক্সিনের পর প্রথম কোন নিডল ফ্রী ( সূঁচ – মুক্ত )ভ্যাকসিন বাংলায় আসতে চলেছে। কোভিশিল্ড,কোভ্যাক্সিন এবং স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনগুলি ইতিমধ্যেই অধীনে প্রচলিত রয়েছে। এবার কোভিড প্রতিরোধক টিকার তালিকায় নতুন সংযোজন ZyCoV-D।এটি কোভিডের বিরুদ্ধে প্রথম ডিএনএ ভ্যাকসিন। এর আগে আসা তিনটি ভ্যাকসিনই আরএনএ-ভিত্তিক।

জাইডাস ক্যাডিলা বা ZyCoV-D ভ্যাকসিনটি একটি তিন ডোজযুক্ত ভ্যাকসিন। প্রথম ডোজের ২৮ দিনের মাথায় ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫৬ দিনের মাথায় তৃতীয় ডোজ নেওয়ার নিয়ম রয়েছে।এক স্বাস্থ্য কর্তার কথায়, “এই নিডল ফ্রী ভ্যাকসিনটি অ্যাপলিকেটরের মাধ্যমে দেওয়া হয়, ফার্মাজেট বা প্রথাগত সিরিঞ্জ – এর দ্বারা নয়, যা ভ্যাকসিনের ব্যথাহীন ইন্ট্রাডার্মাল ডেলিভারি সুনিশ্চিত করে। তাই এই নতুনভাবে অ্যাপলিকেটার ব্যবহার করার জন্য ভ্যাক্সিনেটরদের আমাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এই ধরনের প্রশিক্ষণ সম্ভাব্য শনিবারের মধ্যেই শেষ করা হবে।”

কেন্দ্রীয় সরকারের মজুতখানা কলকাতার হেস্টিংসে ইতিমধ্যেই রাজ্যের জন্য ১ লক্ষ্য ভ্যাকসিন মজুত করে রাখা হয়েছে। এই ডোজগুলি চলতি সপ্তাহের শেষেই রাজ্যের ভ্যাকসিন ডিপোগুলির কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে। জানা যাচ্ছে বাংলার মুর্শিদাবাদে প্রথম টিকাটি আনা হবে। তারপর প্রায় ১০ দিনের মধ্যে অন্যান্য জেলাতেও পৌঁছে দেওয়া হবে।রাজ্য পরিবার কল্যাণ আধিকারিক অসীম দাস মালাকার বলেন – “কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য আধিকারিকরা এই নিডল ফ্রী ডোজগুলির মাধ্যমে সেই সমস্ত জেলাগুলি থেকে টিকাকরণ চালু করতে চেয়েছিলেন, যে সব জায়গায় প্রথম ডোজের কভারেজ দুর্বল। যদিও আমাদের এমন কোন জেলা নেই, যেখানে প্রথম ডোজ কভারেজ খুব কম। তবু আমরা মুর্শিদাবাদের নাম প্রস্তাবিত করেছি, যেখানে প্রথম ডোজের কভারেজ প্রায় ৮০%।”

গত আগস্ট মাসে ZyCoV-D কেবল ১২ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য অনুমোদিত হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে, কলকাতাও সেই শহরগুলির মধ্যে একটি ছিল , যেখানে শিশু স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে শিশুদের উপর ক্লিনিকাল ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। সূত্র অনুযায়ী, যেহেতু কেন্দ্র বাচ্চাদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি, তাই সরকার অধিগ্রহণ করা ZyCoV-D গুলি আপাতত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ব্যবহার করা হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৮৮ % কিছু বেশি মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *