আজ খবর ডেস্ক : বাম মঞ্চে তাঁকে আগেও দেখেছে কলকাতাবাসী। তবে এবার মঞ্চ বদল। সব কিছু ঠিকমতো চললে কংগ্রেসের হয়ে আসন্ন পুরভোটে কংগ্রেসের মঞ্চ থেকে প্রচারে দেখা যেতে পারে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) প্রাক্তন ছাত্র-নেতা, কানহাইয়া কুমারকে ।
এবছরের কলকাতা পুরভোটে মোট ১২১টি ওয়ার্ড থেকে লড়ছে কংগ্রেস। তবে প্রচার নিয়ে তেমন কোনও জাঁকজমক নেই তাদের। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, অধীর চৌধুরী দিল্লির চলতি সংসদ অধিবেশন নিয়ে ব্যস্ত। অন্যদিকে বর্ষীয়ান নেতা ও রাজ্যসভার সাংসদ, প্রদীপ ভট্টাচার্যকেও এখনও পর্যন্ত কোন প্রচারে দেখা যায়নি। এছাড়া প্রদেশ কংগ্রেসের গঠিত প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান, মালদহের প্রাক্তন বিধায়ক মুস্তাক আলম কলকাতার প্রচার নিয়ে আদৌ কোন কৌশল সাজিয়েছেন কি না তা-ও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি।
দলীয় সূত্রের খবর, জাতীয় কংগ্রেসের তরফ থেকে কানহাইয়া এবং সংখ্যালঘু শাখার সর্বভারতীয় চেয়ারম্যান ইমরান প্রতাপগঢ়ীকে পুরভোটের প্রচার উপলক্ষ্যে কলকাতায় পাঠানো হতে পারে। এই বিষয় শহরের কংগ্রেস প্রার্থীরা একটু আগ্রহ দেখালেই তাঁরা কিছু ওয়ার্ডে প্রচারে আসতে পারেন।আপাতত, বাংলায় জাতীয় কংগ্রেসের কোনও পর্যবেক্ষক নেই, কেবল সহ-পর্যবেক্ষক বি পি সিংহই দলের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করে চলেছেন। শোনা যাচ্ছে , প্রচারের ক্ষেত্রে শহরের ওয়ার্ডগুলির মধ্যে দুই বিদায়ী কাউন্সিলর, প্রকাশ উপাধ্যায়ের ২৯ নম্বর ওয়ার্ড এবং সন্তোষ পাঠকের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব । তাই ওই দুই প্রার্থীর জন্যই কানহাইয়াকে প্রচারে দেখেতে বেশি আগ্রহী কংগ্রেস।
সেই সঙ্গে কিছু সংখ্যালঘু এলাকাতেও দেখা যেতে পারে কানহাইয়া, ইমরানদের। প্রদেশ কংগ্রেসের এক নেতা এই বিষয় বলেন, ‘‘প্রচারে ওঁদের পেলে ভালই হবে। এআইসিসি সূচি চূড়ান্ত করলে ওঁরা প্রচারে আসতে পারেন।’’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সিপিআই ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বিহারের কানহাইয়া কুমার।হাজরার সুজাতা সদনে গতকাল দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের কর্মীসভায় দলীয় প্রার্থীদের সর্বশক্তি নিয়ে একজোট হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দেন শীর্ষ নেতারা।
ওই কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন পুরভোটের জন্য প্রদেশ কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক কমিটির সদস্য অসিত মিত্র, প্রদেশ নেতা শুভঙ্কর সরকার, দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ প্রসাদ প্রমুখ। সেই সঙ্গে দক্ষিণ কলকাতার বেশ কিছু ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।