আজ খবর ডেস্ক- কেন্দ্রের তিনটি কৃষক বিল প্রত্যাহারের দাবিতে বিগত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দিল্লি সীমানায় অবস্থান বিক্ষোভ চলছে পঞ্জাব ও পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কৃষকদের। অবশেষে প্রায় ১৪ মাস ধরে চলা কৃষক আন্দোলনে ইতি টানার কথা বৃহস্পতিবার ঘোষণা করল কৃষক সংগঠনগুলি।

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে কৃষি বিল প্রত্যাহারের ঘোষণার পরই কৃষকদের তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল – খাতায়-কলমে বিল বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে। এরপর সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরুর প্রথম দিনেই কৃষি বিল প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাস হয়। এরপরই আগামীকাল অর্থাৎ ১১ ই ডিসেম্বর থেকে আন্দোলন বন্ধ করার কথা ঘোষণা করল প্রতিবাদরত কৃষক সংগঠনগুলির।

সেই সঙ্গে কৃষক ইউনিয়নগুলি গতকাল বিকেল ৫.৩০টায় একটি ‘ফতেহ আরদাস’ নামের বিজয় প্রার্থনা করেন। তারপর জানান হয়,আগামী ১১ ই ডিসেম্বর সকাল ৯ টার দিকে নজর তাঁরা দিল্লির সিংগু এবং টিকরি সীমান্ত থেকে একটি ফতেহ মার্চ নামের বিজয় মিছিল করার পরিকল্পনা করেছেন। এছাড়া জানা গিয়েছে, পাঞ্জাবের কৃষক নেতারা আগামী ১৩ ই ডিসেম্বর অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে প্রণাম করতে যাওয়ার পরিকল্পনা নিচ্ছেন৷ পাশাপাশি আগামী ১৫ ই ডিসেম্বর সংযুক্ত কিষান মোর্চা বা এসকেএম দিল্লিতে আরেকটি সভা করতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।

কৃষি বিল প্রত্যাহারের পরই কৃষকদের তরফ থেকে এমএসপির বিষয় কেন্দ্রীয় উদ্যোগের দাবি জানান হয়েছিল। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকার কৃষক ইউনিয়নগুলিকে জানিয়েছেন যে, এমএসপি বা নূন্যতম সহায়ক মূল্য ইস্যুতে একটি কমিটি গঠন করা হবে। কমিটিতে কেন্দ্র ও রাজ্যসরকারের আধিকারিকদের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ ও সম্মিলিত কিষাণ মোর্চা ও কৃষক ইউনিয়নগুলির প্রতিনিধিরাও থাকবেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার আন্দোলনকারী কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত পুলিশি মামলা প্রত্যাহারেরও আশ্বাস দিয়েছেন ।

জানা গিয়েছে, গতকালই সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পাঁচ সদস্যের একটি প্যানেল আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। দিল্লিতে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার বৈঠকের পর কৃষক নেতা গুরনাম সিং চারুনি বলেন, “আমরা আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ১৫ জানুয়ারী একটি আলোচনা সভা করব। যদি সরকার তার প্রতিশ্রুতি পূরণ না করে তাহলে আন্দোলন আবার শুরু করতে পারি।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিল্লি সংলগ্ন গাজিপুর, টিকরি এবং সিঙ্ঘু সীমান্তে প্রায় বিগত একবছরেরও বেশি সময় ধরে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে। দিল্লি পুলিশ, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা থেকে আসা এই বিক্ষোভকারী কৃষকদের আন্দোলনের সময়ও অতিতৎপর ছিল। কিছুতেই যাতে রাজধানীতে প্রবেশ না করতে পারে,সেই দিকেও কড়া নজর ছিল পুলিশের।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *