আজ খবর ডেস্ক : ওমিক্রন আতঙ্কের জেরে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। অর্থাৎ আপাতত ভারতে সমস্ত আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে। গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি সার্কুলারে, ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) – এর তরফ থেকে বিষয়টি জানান হয়েছে। সুইজারল্যান্ড সহ আরও ৩২ টি দেশ, যাদের সাথে ভারতের ফ্লাইট বাবল সুবিধে রয়েছে, শুধু মাত্র সে সমস্ত জায়গার সঙ্গে চালু থাকবে আন্তজার্তিক বিমান পরিষেবা।

চলতি বছরের নভেম্বরে, ভারতীয় ডিজিসিএ – এর তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল যে , এই বছরই ১৫ ই ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা পুনরায় চালু করা হবে। কিন্তু তারপরই বিশ্বজুড়ে একাধিক দেশে যে ভাবে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ওমিক্রন, তাতেই সিদ্ধান্ত বদলের সিদ্ধান্ত নিল ডিজিসিএ। যে সমস্ত দেশগুলিতে ওমিক্রনের উচ্চ সতর্কতা রয়েছে, এবং যেই দেশগুলির সাথে ভারতের আকাশপথের বাবল চুক্তি নেই , সেই সমস্ত দেশগুলির সাথে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু না করারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ প্রসঙ্গত , ২০২০ সালের ২৩ শে মার্চ থেকে দেশকে কোভিড সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে, আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল।সুতরাং বিদেশ ভ্রমণ বা কোন প্রয়োজনীয় কারণে ভারতীয়দের জন্য ব্যয়বহুল বাবল ফ্লাইটই একমাত্র বিকল্প। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এরপর কবে থেকে আবারও আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা স্বাভাবিকভাবে চালু করা হবে, তা পুরোটাই নির্ভর করবে ভারত ও অন্যান্য দেশগুলির আগামী দিনের কোভিড ও নতুন স্ট্রেন ওমিক্রণের পরিস্থিতির উপর।

সিভিল এভিয়েশনের ডিরেক্টরেট জেনারেল বলেছেন : “এই নিষেধাজ্ঞাটি আন্তর্জাতিক অল-কার্গো অপারেশন এবং ডিজিসিএ দ্বারা বিশেষভাবে অনুমোদিত ফ্লাইটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না… পরিস্থিতি ও বিষয়ের উপর ভিত্তি করে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ দ্বারা নির্বাচিত রুটে নির্ধারিত আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলি অনুমোদিত হতে পারে।” সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, “উদ্বেগের নতুন রূপ হিসেবে ওমিক্রণের ক্রমবর্ধমান উত্থান, বিশ্বজোড়া পরিস্থিতি ও সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সাথে পরামর্শ করেই পরিস্থিতির উপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে নির্ধারিত বাণিজ্যিক, আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিষেবাগুলি পুনরায় চালু করার জন্য নির্দিষ্ট তারিখ উপযুক্ত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে যথা সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।”

ভারতের এই বাবল চুক্তির অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে রয়েছে আরব, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ একাধিক দেশ। এই দেশগুলির সাথে বিমান পরিষেবা অব্যাহত রাখা হবে। অন্যদিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, ইউরোপ (যুক্তরাজ্য সহ), দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বতসোয়ানা, চীন, ঘানা, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, তানজানিয়া, হংকং এবং ইজরায়েল থেকে ভারতে আগত যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ভাবে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে হবে। শুধু তাই নয়, পরীক্ষার রিপোর্ট নেতিবাচক না এলে, এক সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। সেই সাথে আট দিনের মাথা থেকে শুরু করে তারা দুই সপ্তাহ, এবং তারপরও তারা যতদিন দেশে থাকবে, তাদের স্বাস্থ্যের বিষয় বিশেষ নজর রাখতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *