আজ খবর ডেস্ক- রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। নন্দীগ্রামের বিধায়ক । বাংলায় বিজেপির কার্যত প্রধান মুখ। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একসঙ্গে চলছিল ৫টি মামলা। যা পরবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছয়।
অবশেষে সোমবার মিলল স্বস্তি। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল রাজ্য সরকার।

কলকাতা হাই কোর্টের পর এ বার সুপ্রিম কোর্টেও বহাল রইল বহু চর্চিত “রক্ষাকবচ”। নন্দীগ্রামের বিধায়কের বিরুদ্ধে ওঠা মামলা হাই কোর্টেই ফিরিয়ে দিল শীর্ষ আদালতের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
শুভেন্দুর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া মামলায় প্রথমে কলকাতা হাই কোর্টের একক বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, ‘বিরোধী দলনেতাকে গ্রেফতার বা তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না এখনই’। নতুন এফআইআর হলেও জানাতে হবে শুভেন্দুকে। দায়ের হওয়া মামলাগুলির মধ্যে শুভেন্দুর দেহরক্ষীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলাও ছিল।

একক বেঞ্চের ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও গিয়েছিল রাজ্য। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি কেসাং ডোমা ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চও একক বেঞ্চের রায় বহাল রেখে শুভেন্দুকে ‘রক্ষাকবচ’ দিয়েছিল। সেই রায়কেও চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এর পর শীর্ষ আদালতে যায় রাজ্য।

সোমবার ওই মামলায় হাই কোর্টের রায়কেই আপাতত বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতিরা জানান, উচ্চ আদালতের রায়ের ওপর এখনই তাঁরা কোনও হস্তক্ষেপ করবেন না।
রাজনৈতিক মহলের এক অংশের মতে, দেহরক্ষীর মৃত্যু থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যবহৃত ত্রিপল “চুরি”। একাধিক মামলা দিয়ে শুভেন্দু কে দমিয়ে রাখতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। এদিন শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের পরে শুভেন্দু এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেন নি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, কলকাতা পুরভোটের আগে শেষ লগ্নের প্রচারে এই বিষয়ে সরব হবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *