আজ খবর ডেস্ক : ভুয়ো বিয়ের কার্ড ছাপিয়ে রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদন জানালো খড়গপুরের বাসিন্দা। জাল আবেদন ধরা পড়তেই শুরু করল নকল বিয়ের নাটক।
বিয়ের আগে রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদন জানালে সরকার থেকে দেওয়া হয় ২৫ হাজার টাকা। সেই টাকার লোভেই জাল বিয়ের কার্ড বানায় বেলদা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নবোদয় পল্লীর সুলেখা দাস অধিকারী। মঙ্গলবার বিয়ের কার্ড সহ আবেদন পত্র জমা দেয় নারায়ণগড় পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে। ওইদিন রাতেই কথা ছিল বিয়ের। কিন্তু আচমকা তদন্ত করতে এলাকায় পৌঁছান নারায়ণগড় ব্লকের বিডিও কৃশানু রায় ও জয়েন্ট বিডিও দিলবার হোসেন। তদন্তে গিয়ে তারা হতবাক, পাত্রীর বাড়িতে পৌঁছে দেখেন সেখানে বিয়ের কোনও আয়োজন নেই!
বিডিও ও অন্যান্য আধিকারিকদের দেখে পাত্রীর পরিবার পাত্রীকে বিয়ের জন্য প্রস্তুত করতে শুরু করে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে উঠে আসে আসল সত্য। মেয়ের বিয়ে গত পাঁচ মাস আগেই হয়ে গিয়েছে। টাকা পাওয়ার লোভে ভুয়ো তথ্য সহ আবেদন জানিয়েছেন সুলেখা দাস অধিকারী।
ওই তরুণীর আত্মীয় প্রদীপচন্দ্র দাস প্রথমে তথ্য গোপন করার বিষয়টি স্বীকার না করলেও পরে নিজেদের ভুল স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে নারায়ণগড়ের বিডিও কৃশানু রায় বলেন, “আমাদের কাছে রূপশ্রীর জন্য অনেক আবেদন পত্র জমা পড়ে এবং সেগুলো খতিয়ে দেখতে হয়। আমাদের কাছে একটা খবর ছিল যে একটা ভুয়ো আবেদন পত্র জমা পড়েছে। তাই আমরা তদন্ত করতে যাই। বাড়িতে গিয়ে দেখি বিয়ের কার্ডে যে তারিখ উল্লেখ করা হয়েছিল সেই তারিখে কোনও বিয়ের অনুষ্ঠান নেই। বিয়েটা অনেক আগেই হয়ে গিয়েছে।” তিনি এই পরিবারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।