আজ খবর ডেস্ক- ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে ৮ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার যুদ্ধের ট্যাঙ্ক কেনার বরাত দেওয়া হলো। দেশীয় ভাবে ১১৮টি অর্জুন-এমকে-১এ ট্যাঙ্কটিকে এমন পদ্ধতিতে তৈরি করা হয় , যা ভারতীয় পরিবেশে সেনাদের সুরক্ষা দিতে সক্ষম। এখনো পর্যন্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে। চেন্নাই সংলগ্ন অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের অধীনে থাকা আভাদির ফ্য়াক্টরিতে তৈরি হবে এই ট্যাঙ্ক। ভারতীয় বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতেই দেশে আনা হচ্ছে এই ট্যাঙ্ক। প্রসঙ্গত ভারতীয় বিমান বাহিনীকে নতুন ভাবে সজ্জিত করতে কিছুদিন আগেই সরকারি তরফ থেকে ৩৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। তারমধ্যে প্রায় সাত মাস আগে ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল এই ধরনের ট্যাঙ্কের প্রয়োজনীতার কথা উল্লেখ করেছিল। মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে সেনার হাতে Arjun Mk-1 রয়েছে। তাই এবার তারই উন্নত ভার্সন Arjun Mk-1A নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। চেন্নাইয়ের কমব্যাট ভেহিকেলস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এসটাব্লিসমেন্ট এই ট্যাঙ্কের ডিজাইন করেছে।
অন্ততপক্ষে প্রায় ৭২টির মত ক্ষেত্রে আগের তুলনায় আপগ্রেড করা হয়েছে এই ট্যাঙ্কটিকে। এটির যাতায়াতের ক্ষমতা, শত্রু শিবিরের হামলার মুখে টিকে থাকার ক্ষমতাও বাড়ানো হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই ট্যাঙ্কের সঙ্গে একেবারে উন্নত ধরনের প্রযুক্তি সংযুক্ত করা থাকবে। রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অব্যর্থ নিশানায় হামলা করতে সক্ষম হবে এই ট্যাঙ্কটি। অন্যতম সুবিধে হলো দিন রাত, যেকোনও ভূভাগে সমানভাবে কর্মক্ষম এই ট্যাঙ্ক। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যেকোনও এই শ্রেণির ট্যাঙ্কের সঙ্গে কাধ মিলিয়ে পাল্লা দিতে পারবে অর্জুন। প্রথম ৫ টি ট্যাঙ্ক আগামী ৩০ মাস পর ডেলিভারি দেওয়া হবে।
প্রাক্তন আর্মার্ড কর্পস অফিসার মেজর জেনারেল এ.পি সিং বলেন, “Mk-1A MBT ভারতীয় সেনাবাহিনীকে কার্যক্ষেত্রে আলাদা করে কোনো কার্য ক্ষমতা প্রদান করবে না, কারণ পাঞ্জাব জুড়ে রাস্তা ও সেতু পুনর্বহাল করা এবং পাকিস্তান সীমান্তের গঙ্গানগরের মতো অন্যান্য স্থানে এটি মোতায়েনের ক্ষেত্রে এটা অনেকটা অতিরিক্ত ও অকার্যকর।”