আজ খবর ডেস্ক : “ডিসেম্বরের শহর থেকে যায় অপেক্ষায়” এই অপেক্ষা কি শুধু প্রেমের? খাদ্যরসিক মানুষরাও কিন্তু এই ডিসেম্বর মাসের অপেক্ষায় থাকে। পিঠে, পায়েস, নলেনগুড় এইসবের নামে আসে জিভে জল। কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাবারও তো খেতে হবে! শীতকালের সবজির বাজার ইতিমধ্যে পূর্ণতা পেয়েছে। বাজারে ঝুড়ি ভর্তি করে বিক্রি হচ্ছে ফুলকপি বাঁধাকপি। এই দুটো সবজি ছাড়া শীতকাল অসম্পূর্ণ। কেউ বাঁধাকপির সঙ্গে আলু দিয়ে রান্না করছে আবার কেউ ফুলকপি দিয়ে শোল মাছ। তবে এই দুটো সবজি খাওয়ার আগে জেনে নিতে হবে কীভাবে খেলে উপকারিতা পাবেন এবং কাদের খাওয়া উচিত নয় তা জেনে নেওয়া উচিত। আসুন জানা যাক :

বাঁধাকপি :

বাঁধাকপিতে প্রচুর ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও সোডিয়াম রয়েছে। এসব উপাদান হাড়ের নানান সমস্যা দূর করে, হাড় ভালো রাখে, বার্ধক্যজনিত হাড়ের সমস্যার আশঙ্কাও কমায়। সবজি হিসেবে খেলেও বাঁধাকপির রয়েছে নানান ঔষধি গুণ। যেমন বাঁধাকপি পেটব্যথা এবং অন্ত্রের আলসার কমাতে সাহায্য করে।

তবে বাঁধাকপি হজমে সমস্যা হলে গ্যাসট্রাইটিস বেড়ে যায়। বাঁধাকপির কারণে পেটফাঁপাভাব হতে পারে। বাঁধাকপি, ব্রকলির মতো ক্রুসিফেরাস সবজি পেটে গ্যাসের সৃষ্টি করতে পারে। তাই প্রথমে অল্প পরিমাণ খেয়ে দেখুন। খাওয়ার পর অস্বস্তি বোধ হলে বাঁধাকপি না খাওয়াই ভালো।

ফুলকপি :

ফুলকপিতে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও সালফার। ফুলকপির ডাঁটা ও সবুজ পাতায় প্রচুর ক্যালসিয়াম আছে, যা আমাদের দেহের নিত্যদিনের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করতে পারে। এছাড়া মরণব্যাধি ক্যানসার প্রতিরোধে, রক্তের শ্বেতরক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। এই সবজি অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য খুবই উপকারী। অতিরিক্ত কোলেস্টেরল কমানোর জন্য এবং ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য একটি ভালো সবজি।

কিন্তু এত ভালো ভালো গুণ থাকার পরও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই সবজি না খাওয়াই ভালো। ফুলকপি আঁশ ও পানিসমৃদ্ধ। অতিরিক্ত ফাইবার বা আঁশসমৃদ্ধ যেকোনো কিছু অতিরিক্ত গ্রহণ করলে তা আমাদের হজম হয়না, ফলে ব্লটিং বা পেটফাঁপা ও গ্যাস তৈরি হতে পারে। এছাড়া ফুলকপিতে ভিটামিন কে-এর পরিমাণ বেশি, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। তাই যাঁরা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান, তাঁদের জন্য এই সবজি এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *