আজ খবর ডেস্ক– নাগাড়ে বাড়ছে জ্বালানীর দাম। একদিকে যেমন পেট্রোল অন্যদিকে ডিজেল। আর তার আঁচ পড়ল এবার পুজো পরিক্রমায়। রাজ্য সরকারের পরিবহণ দফতরের তরফে বাসে চেপে ঠাকুর দেখানোর উদ্যোগকে ঠাণ্ডা ঘরে পাঠাল আয়োজকরা। ডিজেলের দাম বাড়ার ফলে এই উদ্যোগ সফল করা সম্ভব নয়। গত বছরও পুজোয় প্যান্ডেল পরিদর্শন করার ব্যাবস্থা রাখা হয়েছিল, কিন্তু তাতে সীমিত সংখ্যক দর্শনার্থী উঠতে পেড়েছিলেন। এর কারণ ২৫ শতাংশ মানুষই উঠতে পারবেন বলে নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি সেই ভাবে কলকাতা বা পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের তরফ থেকে সেই উৎসাহ দেখা যায় নি। তাও এই বছর সেই আয়োজন করলেও তা কার্যত বন্ধ রাখতে হল আয়োজকদের। তাঁদের দাবি, যথাযত টাকাটুকুও তুলতে পারেননি তাঁরা।
এই পরিকল্পনায় বেশ কিছু আকর্ষণীয় থিমের ব্যাবস্থা রাখা হয়েছিল। যেমন বাসে চেপে প্যান্ডেলে ঘুরে বেড়ানো, তার সঙ্গে জয়রামবাটিতে কুমারী পুজো দেখানো। এখানেই শেষ নয় এই পরিকল্পনায় ছিল ভোগ খাওয়ানোও। শহর ও শহরতলীর পুজো দেখানোর আয়োজনও করা হয়েছিল এইবার, যা আগেরবারও করা হয়েছিল। আগে লঞ্চে ও বিলাসবহুল ট্রামে চেপেও ঠাকুর দেখানোর পরিকল্পনা করা হয় পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের পক্ষ থেকে। মূল্যবৃদ্ধির কারণে সেই সব পরিকল্পনা এইবার বন্ধ। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে সেই আকাশছোঁয়া ডিজেলের দাম।
লঞ্চে চেপে টাকি এলাকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এপার বাংলা-ওপার বাংলার বিসর্জন দেখানোর পরিকল্পনাও করা হয় আগেই। প্রথমে অর্থাৎ করোনা পূর্ব কালে এই সব আয়োজন লাভজনক হলেও এইবার বাধ সাধল করোনা ও মূল্যবৃদ্ধি।
এইবার সাহস করে এই পরিকল্পনা করা হলে বিপুল পরিমাণে লোকসানের মুখ দেখতে হবে বলেই মনে করছেন একাংশ। তাই সাহস করে আর খরচ বাড়াতে চাইছেন না কর্তারা। হাইকোর্টের নির্দেশের পরই বন্ধ করে দেওয়া হল এই বিশেষ আয়োজন। আর আগে ভাগেই জানান হয়েছিল এবছর দুর্গাপূজোর কার্নিভাল আয়জিত হবে না। সব মিলিয়ে আশায় কিছুটা পিছিয়ে আসতে হল দর্শক ও আয়োজক দু’পক্ষকেই।