আজ খবর ডেস্ক- ক্রিসমাস আর বছর শেষের উৎসব আবহ। লাগামছাড়া ভিড় কলকাতা থেকে দার্জিলিং। শুধু ২৫ তারিখে পার্কস্ট্রিটের জনজোয়ার চোখ কপালে তুলে দিয়েছে সবার। এর মধ্যেই আবার এল খারাপ খবর।
কলকাতায় ফের কোভিড ধরা পড়ল ব্রিটেন ফেরত ৪যাত্রীর দেহে। আক্রান্তদের মধ্যে দু’জন পুরুষ, এক জন মহিলা এবং বছর পাঁচেকেরএকটি শিশু।
আন্তর্জাতিক উড়ান এখন চলছে। বছরের এই সময়ে প্রবাস থেকে দেশে ফেরার একটা প্রবণতা থাকে মানুষের মধ্যে। অনেকে আবার বিদেশে বেড়াতে যান সপরিবারে।
রবিবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পর নিয়ম মত যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষা করা হয়। সেখানেই ওই ৪ জন যাত্রীর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তৎক্ষণাৎ তাঁদের বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পাঠান হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে। ও আশঙ্কা ও রয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সুত্রে খবর, ওই ৪ জনের মধ্যে ২পুরুষ রোগীর বয়স ৪৪ এবং ২৪, মহিলা রোগীর বয়স ৩১। তাঁদের সকলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সোমবার সেই নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর স্পষ্ট হবে তাঁরা কেউ ওমিক্রন আক্রান্ত কি না।
শনিবারই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এক জুনিয়র চিকিৎসকের ওমিক্রন ধরা পড়ে। বেলেঘাটা আইডিতে তাঁর চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসক সম্প্রতি বিদেশেও যাননি। তা হলে কী ভাবে আক্রান্ত হলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও বিদেশির সংস্পর্শে এসেছিলেন কিনা তা-ও জানার চেষ্টা চলছে।
গবেষকদের এক অংশ গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা ও উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ওমিক্রনের সংক্রমণ ছড়ানোর হার ডেল্টার থেকেও পাঁচ গুণ বেশি!
অর্থাৎ, শহরে ও জেলায় ওমিক্রন প্রভাব বিস্তার করলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাবে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসার জন্য কি আদৌ প্রস্তুত স্বাস্থ্য দফতর? তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত রাজ্য? আর এই ঢিলেঢালা মনোভাবের কারণেই অতিমারীর তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় চিকিৎসকদের একাংশ। এর মধ্যেই আবার ২৫ থেকে ৩১ তারিখ রাত পর্যন্ত রাজ্যে “নাইট কারফিউ” বন্ধ রাখা হয়েছে।