আজ খবর ডেস্ক- তৃণমূলে ‘ঘর ওয়াপাসি’ সব্যসাচী দত্তের। আজ বিধানসভায় তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিমের উপস্থিতিতে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন সব্যসাচী দত্ত। বললেন – “দীর্ঘদিন বিধায়ক, মেয়র ছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই সব পেয়েছি। তবে পরে দলের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। যার জেরে আবেগতাড়িত হয়ে অন্যদলে গিয়েছিলাম। আমাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ আবার গ্রহণ করলেন। এতটুকুই বলব, দল যেভাবে বলবে সেভাবেই কাজ করব।”
২০১৯ সালে পুজোর আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সব্যসাচী। ২ বছর আগের স্মৃতি উস্কে সেই পুজোর আগেই আবার তৃণমূলে ফিরে এলেন। দু’বার করে দলবদলের কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, ”দলের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আবেগতাড়িত হয়ে অন্য দলে গিয়েছিলাম। আজ মমতাদি আবার গ্রহণ করলেন। নতুনভাবে পথচলা শুরু করলাম।”
বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন, এমন কথা বেশ কিছুদিন ধরেই রাজনৈতিক মহলের অন্দরে কান পাতলে সোনা যাচ্ছিলো। তারপর বৃহস্পতিবার বিধানসভায় গিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর সেই জল্পনাই আরো জোরালো হতে শুরু করে। সূত্রের খবর, তখন মুকুল রায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে সব্যসাচীর সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডাকা হয়েছিল বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু ও তাপস চট্টোপাধ্যায়কেও। তবে সব্যসাচীকে দলে ফেরানো নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেননি সুজিত ও তাপস। তাই তার দলবদল নিয়ে প্রথমে একটা জটিলতা তৈরি হলেও অবশেষে ঘাসফুল শিবিরে ফিরলেন সব্যসাচী। বৃহস্পতিবার বেলা ৩ টেয় সব্যসাচী দত্তের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম।
জানিয়ে রাখা ভালো, বর্তমানে খাতায় কলমে বিজেপির অন্যতম রাজ্য সম্পাদক সব্যসাচী দত্ত। EZCC-তে বিজেপির নেতা-কর্মীরা মিলে যে পুজোর আয়োজন করেন, তার দায়িত্বেও থাকেন সব্যসাচী। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে দলে তাঁর যথেষ্ট গুরুত্ব ছিল। এমন এক নেতার আকস্মিক দলত্যাগ বিজেপি নেতৃত্বের কপালে যে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে, তা বলাই যায়। তবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি বিজেপি নেতৃত্ব।