আজ খবর ডেস্ক- রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বিগত কয়েক দিনে ক্রমশ বেড়ে চলেছে সংক্রমণ। রাজ্যে একাধিক স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে, কলকাতায় ২৫ টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হয়েছে।
গতকালই কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই কথা জানিয়ে দেন। এই তালিকায় ফুলবাগানের দুটি বস্তি বাদে, বাকিগুলিই কমপ্লেক্স,এছাড়া কয়েকটি স্বতন্ত্র ফ্ল্যাট রয়েছে। তালিকা থেকে বাদ পড়েনি কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের ভিতরের হোস্টেলও !
এছাড়া এই তালিকায় স্থান পেয়েছে শহরের দশটি বড় হাউজিং কমপ্লেক্স, ইএম বাইপাসের সিলভার স্প্রিং-এর একটি অংশ, ট্যাংরার এক্টিভ একর কমপ্লেক্স এবং আরবানা কমপ্লেক্স। তালিকায় রয়েছে বেশ কয়েকটি ব্যক্তিগত সম্পত্তিও, যেমন শহরের কেন্দ্রে থাকা লাউডন স্ট্রিট, শর্ট স্ট্রিট এবং শেক্সপিয়ার সরণি — তালিকায় রয়েছে। লাউডন স্ট্রিটে এমন অন্তত সাতটি সম্পত্তিকে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে তিনি জানান, যে কোনও আবাসনে ৪ থেকে ৫ জন আক্রান্ত হলেই সেই জায়গাটিকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হবে। কনটেনমেন্ট জোন ছাড়াও বাজার, জনবহুল রাস্তায় স্যানিটাইজেশনের বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ মাস্ক বিলি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। সেই সঙ্গে আরও ৬ লক্ষ মাস্ক বিতরণ করা হবে বলেও জানিয়ে দেন। বাজারে মাস্ক ছাড়া বিক্রি নিষিদ্ধ। আগামী ১০-১৫ তারিখের মধ্যে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্য নিয়েই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, করোনার বাড়বাড়ন্ত শুরু হতেই কয়েকটি সেফ হোম চালুর কথা পুরসভার তরফ থেকে বলা হয়েছিল। সেই মত, মঙ্গলবার থেকে আরও ৩টি সেফ হোম চালু হচ্ছে রাজ্যে। এগুলি হল- হরিকৃষ্ণ শেঠ লেন (৫০ শয্যা), প্রতিদিন হাউস (২০০ শয্যা) ও গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম (১০০ শয্যার )।