আজ খবর ডেস্ক : ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের স্বীকৃতি পেল টাটা মেডিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনিস্টিকসের তৈরি ‘ওমিসিওর’ কিট। এর ফলে এবার থেকে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করেই আক্রান্তের শরীরে ওমিক্রনের উপস্থিতি চিহ্নিত করা যাবে । গত বছর ৩০ ডিসেম্বরই টাটার মেডিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনিস্টিকস লিমিটেডের মুম্বইয়ের প্রধান কার্যালয়ে আইসিএমআর এর তরফ থেকে এই কিটের অনুমোদন এসে পৌঁছায়।

বিশ্বজুড়ে ঝড়ের গতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ওমিক্রণ। এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট – এর উপসর্গ খুবই কম হওয়ায় দ্রুত সংক্রমণ রুখতে টেস্টিং একমাত্র উপায়। তাই কেউ ওমিক্রণে আক্রান্ত হয়েছে‌ কি না, তা জানতে একমাত্র উপায় জিনোম সিকোয়েন্সিং। তাই দেশবাসীর কাছেও এই খবর যথেষ্ট স্বস্তির। এবার ওমিক্রণ চিহ্নিতকরণে ব্যবহার হতে চলেছে দেশীয় কিট । এত দিন পর্যন্ত ভারতে ওমিক্রণ নির্ণয়ের জন্য যে যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছিল, তা আমেরিকার ‘থার্মো ফিশার’ নামে একটি চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা নির্মিত। এই নতুন অনুমোদনের পর এবার থেকে ‘থার্মো ফিশার’-এর পাশাপাশি দেশীয় কিট হিসেবে ‘ওমিসিওর’-ও ব্যবহার হবে ওমিক্রণ পরীক্ষায়।

প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, দেশে জিন পরীক্ষার বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। বাংলায় যদি কেউ ওমিক্রন আক্রান্ত হয়, তা পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠাতে হয় কল্যাণীর পরীক্ষাগারে। কিন্তু টাটার কিট আইসিএমআর-এর ছাড়পত্র পাওয়ার পর এই সমস্যা অনেকটাই লঘু হবে বলে আশাবাদী চিকিৎসকদের একাংশ। জরুরি পরিস্থিতি ঠেকাতে এই দেশীয় কিট চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজেও বিশেষ সুবিধা দেবে বলেই ধারণা তাঁদের।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *