আজ খবর ডেস্ক : ক্রমশ বিপদগামী রূপ নিচ্ছে দেশের কোভিড পরিস্থিতি। তারমধ্যে ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্তের জেরে সঙ্কটের মুখে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। ফলত জনজীবনের পাশাপাশি ক্রীড়াক্ষেএেও পড়ছে এই মারণ ভাইরাসের প্রভাব। তাই সামগ্রিক পরিস্থিতি বিচার করে ইতিমধ্যেই রঞ্জি ট্রফি সহ একাধিক ঘরোয়া টুর্নামেন্ট স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছে বিসিসিআই। এর মধ্যে রয়েছে কর্নেল সি কে নাইডু ট্রফি এবং মহিলাদের টি-২০ লিগ।বোর্ডের সিদ্ধান্তকে ঘিরে স্বভাবতই কপালে চিন্তার ভাঁজ পরেছে রাজ্য সংস্থাগুলি’র কর্তাদের। এই সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্য সংস্থাগুলিকে কিছুটা আশ্বস্থ করতে সম্প্রতি বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন – চিন্তার কিছু নেই। কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেই ফের শুরু করা হবে ঘরোয়া প্রতিযোগীতাগুলি।
এই মর্মে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলিকে পাঠানো মেলে বোর্ড সভাপতি লেখেন, “আপনারা জানেন কোভিড পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার কারণে ঘরোয়া ক্রিকেট বর্তমানে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা এবং কয়েকটি দলের একাধিক ক্রিকেটারের কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার খবরও সামনে এসেছে। এর ফলে প্লেয়ার, অফিসিয়াল এবং টুর্নামেন্টের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি রয়েছে। বিসিসিআই নিশ্চিত করতে চায় যে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এলেই ফের ঘরোয়া ক্রিকেট চালু করার জন্য যা যা করণীর সব কিছু করবে বোর্ড। এই মরসুমের বাকি প্রতিযোগীতাগুলি সমপন্ন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। কিছু দিনের মধ্যে নতুন রূপ রেখা নিয়ে আপনাদের সামনে তুলে ধরবে বোর্ড। আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগীতার জন্য ধন্যবাদ।”
প্রসঙ্গত, আগামী ১৩ ই জানুয়ারি থেকে রঞ্জি ট্রফি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই কোভিডে আক্রান্ত হন বাংলার ৭ জন ক্রিকেটার। পাশাপাশি অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লও আক্রান্ত হয়েছেন কোভিডে। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া’কে। সিএবি’র কোষাধক্ষ দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ও কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলত পরিস্থিতি বেগতিক দেখে স্থগিত করতে হয় ম্যাচ। এর আগে কোভিডের কারণে ২০২০-২১ মরসুমের ঘরোয়া ক্রিকেটের ফ্ল্যাগশিপ টুর্নামেন্ট রঞ্জি ট্রফিও বাতিল করতে হয়েছিল।রঞ্জি’র মতোই এই মাসেই শুরু হওয়ার কথা ছিল কর্নেল সি কে নাইডু ট্রফি। সেই সঙ্গে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হাওয়ার কথা ছিল মহিলাদের টি-২০ লিগ।।কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে অনিশ্চয়তার মুখে এই মাচগুলির ভবিষ্যতও ।