আজ খবর ডেস্ক : কোভিড আক্রান্ত বলা সত্ত্বেও, ভর্তির জন্য নথি যাচাই করতে ছাত্রীকে সশরীরে ক্যাম্পাসে উপস্থিত থাকতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। দমদমের বাসিন্দা ছাত্রী ঊষসী চক্রবর্তীর দাবি, শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে তাঁকে টেলিফোনে জানানো হয়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নথিপত্র নিয়ে পৌঁছতে না পারলে তাঁর ভর্তি বাতিল করা হবে।

তারপরই এই বিষয় সরব হয়ে নেট মাধ্যমে ছাত্রী লেখেন , “কাল আমার পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। আমার মধ্যে সব উপসর্গ আছে। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসে কিছুদিন আগে আমি স্নাতকোত্তরে ভর্তি হয়েছি। আমি ফোনে করণা পজিটিভ বলার সত্ত্বেও ওনাদের বক্তব্য ওনাদের কিছু করার নেই আমাকে ক্যাম্পাসে যেতেই হবে। আর নথি ভেরিফিকেশন না করালে আমার ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে এবং ভর্তির ১০ হাজার টাকাও ফেরত পাওয়া যাবে না। বাড়ি থেকে এখন পিপি কিট পড়ে বেরোলে কোনো গাড়ি আমাকে নিয়ে যাবে না। অগত্যা আমি আর পাঁচটা অসুস্থ মানুষের মত মুখে মাস্ক পরে বাড়ি থেকে বেরোচ্ছি। আমার জন্য কেউ সংক্রমিত হলে সেই দায়ভার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের। আমার কোন দায়ভার নেই। ধন্যবাদ ! “

যদিও বিশ্ববিদ্যালয় তরফ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে জানান হয়েছে, ছাত্রীকে আগেই নথি যাচাইয়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় আসার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি না আসায় পুনরায় বৃহস্পতি ও শুক্রবারের মধ্যে একদিন তাকে বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে নথি যাচাইয়ের কথা বলা হয়েছিল।ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরই, বিশ্ববিদ্যালয় উপস্থিত হওয়া ছাত্রীকে নথি যাচাই না করেই বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে অসুস্থতা সত্বেও ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় ডেকে আনার জন্য ক্ষমা চাওয়া হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *