আজ খবর ডেস্ক- সামনে উৎসবের মরসুম আর তাতে করোনা সংক্রমণ যে কোথায় গিয়ে ঠেকতে পারে তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে অনেকেরই। টিকাকরণের দুটি ডোজ নেওয়ার পরেও অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন ডেল্টা স্ট্রেনে। অনেক ক্ষেত্রে যাকে ব্রেক থ্রু ইনফেকশন বলেও জানা যায় চিকিৎসা বিজ্ঞানে।
হু জানিয়েছে, ভারতে ৯৫০০ কোভিড রোগীর জিনোম সিকোয়েনসিং করা হয়েছিল। এই গবেষণার পর দেখা গিয়েছে তাতে মহিলা এবং সদ্যোজাত থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণে সংক্রমণের লক্ষণ দেখা গিয়েছে।
একইসঙ্গে গবেষণায় দেখা গিয়েছে সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে এবং অগাস্টের শুরুর দিকে সারা বিশ্বে নতুন করে ৩১ লাখ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। হু- র দাবি সারাবিশ্বেই মৃত্যুহার মোটামুটি কিছুটা কমলেও নতুন করে সংক্রমণের হার সারা বিশ্বজুড়ে অনেকটাই কমেছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোথায় কতটা সংক্রমণ কমার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। আফ্রিকায় কোভিডের সংক্রমণ কমেছে ৪৩ শতাংশ। ভূমধ্যসাগরের পূর্বে কমেছে ২১ শতাংশ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কমেছে ১৯ শতাংশ। পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কমেছে ১২ শতাংশ। আমেরিকা এবং ইউরোপ কে বাদ দিলে অন্যত্র মৃত্যুহার কমেছে ১০ শতাংশ অন্যদিকে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি কমেছে আফ্রিকায়।
জানা যাচ্ছে শিশুদের ইমিউন সাধারণত কম অন্যদিকে বয়স্ক মানুষদের ইমিউন এবং শারীরিক গঠন অন্যরকম তাই বয়স্কদের ক্ষেত্রে সেভাবে চিন্তা না থাকলেও শিশুদের ক্ষেত্রে করোনা আক্রান্ত হওয়ার ভয় এবং সম্ভাবনা দুই থেকে যাচ্ছে। উৎসবের মরসুমে এবং তার পরেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে শিশুদের ক্ষেত্রে এবং বিশেষত মহিলাদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি সম্পূর্ণভাবে মেনে চলতে বলা হচ্ছে পাশাপাশি যথাসম্ভব ঘর থেকে না বেরিয়ে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে ইউরোপে সংক্রমণ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগজনক পরিস্থিতি রয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।