আজ খবর ডেস্ক- চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। হাসপাতাল থেকে পুলিশ স্টেশন, সর্বত্র কর্মীর সংখ্যা কমছে। মানুষ কে অন্যভাবে পরিষেবা দেওয়ার নানা ধরনের পথ খোঁজা চলছে। যেমন, সোমবার থেকেই কলকাতা পুলিসের তরফে এফআইআর বা ডাইরি করার জন্য থানার বাইরে মোবাইল নম্বর টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। থানায় সশরীরে যাওয়ার দরকার নেই। একাধিক হাসপাতালে ওপিডি বন্ধ। এবার কমছে ব্যাঙ্ক পরিষেবার সময়?
সম্প্রতি, করোনার থাবায় বন্ধ হয়েছে পার্ক স্ট্রিটে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার শাখা। জানা গিয়েছে, ৪৬ জন ব্যাঙ্ককর্মীর মধ্যে ৩৫ জনই সংক্রমিত।
পার্ক স্ট্রিটের ম্যাগমা হাউসের এসবিআইয়ের শাখা আপাতত বন্ধ করা হয়েছে।শেক্সপিয়র সরণির এসবিআই ব্রাঞ্চেও বেশিরভাগই সংক্রমিত। ৫০ জন কর্মীর ৪৬ জনই সংক্রমিত। যদিও এখনও পরিষেবা জারি রয়েছে এসবিআইয়ের ওই শাখায়।
যেমন খবর মিলেছে, হাওড়ার বালিতে একটি ব্যাঙ্কের সব কর্মীরা করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ায় বন্ধ হয়েছে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের ওই শাখা। গত শুক্রবার থেকেই কানাড়া ব্যাঙ্কের বালি বাজার শাখায় গ্রাহক পরিষেবা ব্যাহত।
শুধুমাত্র জরুরি ভিত্তিতে ব্যাঙ্ক চালু রাখার আবেদন করছেন ব্যাঙ্ক সংগঠনের কর্মীরা। ব্যাঙ্কে কাজের সময় এবং কর্মী সংখ্যা কমানোর আর্জি জানান হয়েছে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিল অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন। তাদের বক্তব্য, মফঃস্বল ও জেলা শহরগুলোতেও ব্যাপক হারে আক্রান্ত হয়েছেন ব্যাঙ্ক কর্মীরা। একাধিক জায়গায় প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে চলছে ব্যাঙ্কের কাজ।
১) সপ্তাহে ৫ দিন ব্যাঙ্ক চালু রাখার আবেদন করা হয়েছে অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের তরফে ২)ব্যাঙ্কের কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার আবেদন করেছে এআইবিওসি।
তাদের দাবি, প্রায় প্রতিদিন একাধিক কর্মী আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকে সুস্থ হলেও দুর্বলতার কারণে কাজে যোগ দিতে পারছেন না।
এই কারণে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সময় কমিয়ে এবং সপ্তাহে ৫দিন অফিস করার আবেদন রেখেছেন তারা।