আজ খবর ডেস্ক- রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ফের আদালতের দ্বারস্থ হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তাঁর অভিযোগ, কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি থাকা সত্বেও তাঁকে লালগড়ের নেতাইয়ে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়নি।
একই সঙ্গে উচ্চ আদালতকে তিনি জানান, তাঁর বাড়ির ওপর রীতিমত নজরদারি চালাচ্ছে রাজ্য।
Clutching at straws to remain in power, defying the democratic will of people, armed goons fired indiscriminately at villagers of Netai; Binpur Block; Jhargram (then West Midnapore) on 7th January, 2011. Nine lives were lost & several got injured.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) January 7, 2022
ঘটনার সূত্রপাত গত ৭ই জানুয়ারি। সকালে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় “শহীদ শ্রদ্ধাঞ্জলি” কর্মসূচি পালনের পরে ঝাড়গ্রামের নেতাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন শুভেন্দু। কিন্তু নেতাই ঢোকার মুখে, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের “গো ব্যাক” ধ্বনির মুখে ফিরে আসতে হয় শুভেন্দু কে। এই অভিযোগেই আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী।
Such atrocities & abuse of power in connivance with Police led to the downfall of Left Front Govt.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) January 7, 2022
TMC Govt is following the footsteps of the Left & heading towards the inevitable. @WBPolice couldn't save the then Govt, wouldn't be able to shield this Govt as well, for long. pic.twitter.com/3j7b8E7X04
সোমবার শুভেন্দুর এই অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল উচ্চ আদালত। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, এক সপ্তাহের মধ্যে ওই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আদালতে জমা দিতে হবে। ১৯ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে গত সপ্তাহে শহিদ স্মরণ কর্মসূচিতে নেতাই যান তিনি। তার পর শহিদ পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন । কিন্তু সেখানে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ও পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু। আদালতের অনুমতির পরেও কেন ওই গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হল না এই অভিযোগ তুলে ফের হাই কোর্টে আবেদন করেন তিনি। সোমবার ছিল ওই মামলার শুনানি। শুভেন্দুর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নিরাপত্তা নিয়ে উদাসীন রাজ্য। আদালতের নির্দেশের পরও অনেক ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না।”
পাশাপাশি আদালতে শুভেন্দুর আইনজীবী জানান, শুভেন্দুর কাঁথি অর্থাৎ “শান্তি কুঞ্জ”র সামনে মাঝ রাত অবধি উচ্চস্বরে মাইক বাজান হচ্ছে। নজরদারির জন্য বাড়ির দরজা, জানলায় সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। এর পরই রাজ্যের বক্তব্য জানতে চান বিচারপতি মান্থা। উত্তরে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, বিরোধী দলনেতার নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য হলফনামা দিয়ে আদালতে জানাবে।