আজ খবর ডেস্ক- করোনা পরিস্থিতির বার বাড়ন্ত চলছেই। হিসেব বলছে, কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় সংক্রমণের হার বেশি। এর মধ্যেই আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের ৪ পুরনিগমের ভোট। আসানসোল, শিলিগুড়ি, চন্দননগর এবং বিধাননগরে চলছে জোরদার প্রচার।
এদিন সকলেই আসানসোলে প্রচারের সময় পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি হয় বিজেপির অন্যতম কেন্দ্রীয় সম্পাদক দিলীপ ঘোষের।
আবার বিধাননগরে এদিন থেকেই ভার্চুয়াল প্রচার শুরু করছে সিপিএম। এদিনের বক্তা শায়নদীপ মিত্র এবং দীপ্সিতা ধর।
করোনা আবহে এই ৪ পুরনিগমের ভোট হবে কিনা, মঙ্গলবার তার শুনানি ছিল হাইকোর্টে।
রাজ্যের ওই ৪ পুরসভায় কোথায়, কত কোভিড-১৯ সংক্রমণ হয়েছে, কতগুলি কন্টেনমেন্ট জোন রয়েছে, সেই বিষয়ে আজ রাজ্যের কাছে তথ্য চাইল কলকাতা হাই কোর্ট।
একই সঙ্গে এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে ভোট করানো সম্ভব তা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ।
বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়ে জবাব দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
রাজ্যের আসন্ন চার পুরভোট পিছনোর আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন সমাজকর্মী বিমল ভট্টাচার্য। তারই জেরে এই শুনানি।
বিমলের পক্ষে আইনজীবী ও সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য শুনানিতে জানান, রাজ্যের ওই ৪ পুরসভার মেয়াদ আগেই শেষ হয়েছে। রাজ্য সরকার নিযুক্ত প্রশাসকেরা কাজ চালাচ্ছেন। ফলে এখনই ভোট না হলে সাংবিধানিক সঙ্কটের প্রশ্ন নেই।
হাই কোর্ট সম্প্রতি রাজ্যের মতে সায় দিয়ে গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজনে ছাড়পত্র দিয়েছে। মামলাকারীর আর এক আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিথি-নক্ষত্র ধরে নির্ঘণ্ট মেনে সাগরমেলার আয়োজন করতে হয়। পুরভোটের ক্ষেত্রে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। তা ছাড়া, সাগরমেলার আয়োজনের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কঠোর ভাবে কোভিডবিধি মেনে চালার প্রতিশ্রুতি দিলেও পুরভোটের প্রচারের ক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক দলই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কোভিড সংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনে চলছে না।
আগামী ২৫ জানুয়ারি ওই ৪ পুর নিগমের গণনা হওয়ার কথা। রাজ্যের আরেক বিরোধী দল বিজেপি ও এই মুহূর্তে ভোট না করার পক্ষে। একদিকে যেমন করোনা আবহে ভোট, ভোটের প্রচার এবং সভা হলে সংক্রমণ বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। শাসক দলের দাবি, ভোটের ফল ভাল হবে না জেনেই বিরোধীদের এহেন আচরণ। পাল্টা বিরোধীদের যুক্তি, এতদিন যদি প্রশাসক দিয়ে কাজ চালানো যায় তাহলে আর কিছুদিন অপেক্ষা করতে অসুবিধা কোথায়?