আজ খবর ডেস্ক : ইতিমধ্যেই ২৪ হাজারের মাত্রা ছাড়িয়েছে রাজ্যের ওমিক্রন সংক্রমণ। তবে অধিকাংশ মানুষই আক্রান্ত হচ্ছেন ডেল্টা স্ট্রেনে। তারমধ্যেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নতুন চমকপ্রদ দাবি সামনে এল।সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, Indian Council of Medical Research-এর Scientific Advisory Committee of the National Institute of Epidemiology-র চেয়ারপার্সন জয়প্রকাশ মুলিয়িল জানিয়েছেন, একবার ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে, তার শরীরে অ্যান্টিবডি থেকে যেতে পারে সারা জীবন। তবে কি একবার ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে আর হবে না করোনা?
তাঁর মতে, দেহে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির কারণেই নাকি অন্য দেশের মতো ভারতের উপর করোনা তেমন মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারেনি। কারণ, টিকা আসার আগেই দেশের ৮৫ শতাংশ মানুষের কোভিড হয়ে যাওয়ায় অধিকাংশের দেহেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে। ফলে তাঁদের শরীরে প্রাকৃতিক উপায়েই তৈরি হয়ে গিয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। জয়প্রকাশ মুলিয়িলের মতে, টিকার প্রথম ডোজটি নেওয়ার পর, সেটিই আসলে এই সব মানুষের জন্য বুস্টার ডোজের কাজ করে ফেলেছে। কারণ তার আগে থেকেই তাঁদের শরীরে কোভিডের সঙ্গে লড়ার ক্ষমতা তৈরি হয়ে যায়। একই সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ওমিক্রন অতি দ্রুত বাড়ছে এবং একে আটকানোর কোন উপায় নেই। ফলে, সকলেরই ওমিক্রন হবে। বুস্টার ডোজ দিয়েও আপাতত একে আটকানো যাবে না।
তবে তাঁর মতে, ওমিক্রনের শক্তি ডেল্টার তুলনায় অনেকগুণ কম। এখন কোভিড নিয়ে আর বিশেষ উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। সাধারণ ঠান্ডা লাগার মতো করেই কোভিড আজীবন থেকে যাবে আমাদের সাথে। যাঁদের শরীরে এই জীবাণুটি সংক্রমণ ঘটাবে, তাঁদের অনেকে জানতেও পারবেন না।ইতিমধ্যেই দেশে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। তবে ডোজের প্রয়োজনীয়তা কোথায়? এর উত্তরে জয়প্রকাশ মুলিয়িল বলেন, ৬০ বছর বয়সের উপরে যাঁদের কো-মর্বিডিটি আছে, তারা বুস্টার ডোজ নিতে পারেন। কারণ তাঁদের অনেকের ক্ষেত্রেই টিকার প্রথম দু’টি ডোজ পুরোপুরি প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারেননি। তাই বলছে সমীক্ষা। অর্থাৎ মূল কথা হল, ওমিক্রন নিয়ে আর বেশি ভয় না পাওয়া এবং স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ শক্তি হওয়ার পথে হাঁটাই এখন একমাত্র রাস্তা— তেমনই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।