আজ খবর ডেস্ক– দলবদলের হিড়িক অব্যাহত। বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসক দল ছেড়ে বিজেপির দিকে গিয়েছিলেন বহু নেতা-নেত্রী। তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যাপক জয়ের পর বিজেপির তরফ থেকে শাসকদলের দিকে ফিরে এসেছেন সেই নেতা-নেত্রীদের একাংশ।
বিজেপির তরফ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরলেন বিজেপি বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। আর সেই ফেরাকে কেন্দ্র করে সরগরম বিরোধী দল। এদিন প্রায় দু’বছর পর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরলেন সব্যসাচী দত্ত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিধানসভায় দেখা করেন তিনি আর এরপরই পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিম- এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা হাতে শাসক দলে যোগদান করেন আনুষ্ঠানিকভাবে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরব হয়েছেন বিজেপি- র বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভাকে কার্যত দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস এমনটাই দাবি তাঁদের। দলে ফেরার পরে সব্যসাচী দত্ত বলেন, তিনি আজ যা কিছু সবই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে প্রতিবাদ জানান বিজেপি বিধায়করা। ভারতীয় সংবিধান হাতে ডঃ বি আর আম্বেদকর- এর মূর্তির সামনে দাঁড়িয়েও স্লোগান দেন তাঁরা এদিন।
এই বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করে শুভেন্দু অধিকারী টুইটে লিখেছেন, নজিরবিহীন ঘটনা এখনও পর্যন্ত সারা ভারতের কোনও বিধানসভা ভবনে যা দেখা যায়নি এমনকি পশ্চিমবঙ্গেও যা আগে কখনও ঘটেনি সেই নজিরবিহীন ঘটনা ঘটালো তৃণমূল কংগ্রেস। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি বলেন, তিনি (পার্থ) রাজ্য সরকারের পরিষদীয় মন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেস দলেও আছেন। তিনি তাঁর সরকারি কক্ষে পরিবহন মন্ত্রীর সঙ্গে আরেকজন ব্যক্তিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে ধরিয়ে যোগদান করালেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা এলাকা। পাশাপাশি শুভেন্দু এদিন তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। তিনি বলেন তৃণমূল কংগ্রেস সমস্ত সীমা পেরিয়ে গেছে। নজিরবিহীন ঘটনার প্রতিবাদে তাঁরা হাতে সংবিধান নিয়ে প্রতিবাদ জানান।