আজ খবর ডেস্ক: করোনা থেকে ডেল্টা এবং ওমিক্রন। দেশের বিভিন্ন রাজ্য ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ সামাল দিতে ব্যস্ত। এর মধ্যে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের একটা বড় অংশ সংক্রমিত হাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গেও একাধিক হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে করোনা রোগী ছাড়া অন্য রোগীদের ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে নয়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য প্রশাসন।
কখন কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো ঠিক, কখন নয়, তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। এ বার নয়া নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। পাশাপাশি, কখন, কাদের নিভৃতবাস বা হাসপাতালে পাঠানো প্রয়োজন সে বিষয়েও বার্তা রয়েছে ওই নির্দেশিকায়।
চলতি সপ্তাহেই ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর পরামর্শে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক কোভিড পরীক্ষা সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল। তারই সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাজ্যের এই নির্দেশিকা।
এতে বলা হয়েছে, করোনার উপসর্গ রয়েছে এমন সকলেরই পরীক্ষা করানো জরুরি। এ
ছাড়া ৬০ বছরের বেশি বয়স যাদের, এবং ঝুঁকিপূর্ণ রোগে আক্রান্তেরা যদি কোভিড রোগীর সংস্পর্শে আসেন তবে তাঁদের উপসর্গ না থাকলেও পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস, ক্যানসার, হাইপারটেনশন, ফুসফুস-লিভার-কিডনির সমস্যা, স্থূলত্ব জনিত সমস্যাকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নিভৃতবাস সংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনে যাঁরা বাইরে বেরোবেন তাঁদের আর পরীক্ষার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
উপসর্গহীন এবং মৃদু উপসর্গ রয়েছে এমন করোনা রোগীদের বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকার কথা বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। মৃদু উপসর্গের তালিকায় রয়েছে, শুকনো কাশি, নাক বন্ধ হওয়া, গলা ব্যথা, জ্বর, ডায়রিয়া, দুর্বলতা, স্বাদ-গন্ধ হারানো। সিস্টোলিক রক্তচাপ ১০০-র সামান্য বেশি কিংবা শ্বাসপ্রশ্বাসের হার মিনিটে ২৪-এর কম হলেও তা পড়বে মৃদু উপসর্গের তালিকায়। কোমর্বিডিটি আছে এমন ব্যক্তিদের বিশেষ ভাবে বাড়িতে নিভৃতবাস পর্বে সতর্ক থাকার কথাও বলা হয়েছে।
করোনা আক্রান্তদের ‘বিপজ্জনক লক্ষণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে টানা ৭ দিনের বেশি জ্বর, শ্বাসকষ্ট, প্রচণ্ড কাশি, ঠোঁট নীল হয়ে যাওয়া, বুকে ব্যথা বা ধড়ফড় করা আচ্ছন্নভাব বা অস্থিরতার মত উপসর্গ। এর সঙ্গে সিস্টোলিক রক্তচাপ ১০০-র কম, অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ শতাংশের কম, শ্বাসপ্রশ্বাসের হার মিনিটে ২৪-এর বেশির মতো সমস্যা থাকলে রোগীকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে ভর্তি করানোর কথা বলা হয়েছে এই নির্দেশিকায়।
সেই সঙ্গে প্রথম সারির কর্মী এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে কোমর্বিডিটি আছে এমন মানুষদের জন্য নিয়মিত বুস্টার ডোজ যে রকম চলছে তা চলতে থাকবে।