আজ খবর ডেস্ক : ব্রিটিশ প্রশাসনে ঘটতে পারে বড়সড় রদবদল। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উপর বাড়ছে ইস্তফার চাপ। তৈরি হয়েছে জোর জল্পনা। হয়ত খুব শিগগিরই পদত্যাগ করতে পারেন বরিস। তবে তাঁর বদলে কে হবেন নতুন প্রধানমন্ত্রী ? শোনা যাচ্ছে, খানিকটা প্রথা ভেঙেই এবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসতে পারেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত ঋষি সুনক ! এই মুহূর্তে তিনি সেখানকার চ্যান্সেলর।

প্রায় দুই বছর আগে করোনাকালে প্রেমিকা সহ ওয়াইন পার্টিতে যোগ দিতে দেখা যায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে। আর সেই সময় ইংল্যান্ডে চলছিল লকডাউন। সেই পরিস্থিতিতেও পার্টি? ছবিগুলি ভাইরাল হতেই সমালোচনার মুখে পড়েন বরিস জনসন। এছাড়াও পরবর্তী সময় ওমন বিপদের সময় প্রধানমন্ত্রীর করোনাবিধি ভঙ্গের বরিসের কনজারভেটিভ পার্টির অন্দর থেকেই পদত্যাগের জন্য চাপ আসতে শুরু করে। একই দাবি তোলেন বিরোধীরাও।তবে সম্প্রতি সেই ঘটনা নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চান বরিস। তবে কাকতালীয় ভাবে সেদিন পার্লামেন্টে উপস্থিত ছিলেন না ভারতীয় বংশোদ্ভুত চ্যান্সেলার ঋষি সুনক।

এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তবে কি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন ঋষি?তার উত্তরে টুইটে পার্লামেন্টে নিজের অনুপস্থিতির কারণ জানান ঋষি। জানান, তিনি দিনভর একাধিক জায়গা পরিদর্শনে ব্যস্ত ছিলেন। এছাড়াও এমপি-দের সঙ্গে বৈঠক ছিল তাঁর। একটি বিশেষ প্রকল্প নিয়ে তাঁরা সকলেই কিছুটা ব্যস্ত। এরপর তিনি লেখেন, ”আমি মনে করি, পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী খুব ভাল করেছেন। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে তো তদন্ত চলছেই।”

বিগত দীর্ঘ সময়ে ভারত তথা এশিয়ার কোন ব্যাক্তি ইংল্যান্ডের এমন কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন না। তবে এই মুহূর্তে সেখানকার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে বরিসের বিকল্প হিসেবে এগিয়ে রয়েছেন ঋষি। ফলত ভারতীয়দের জন্য এই খবর যেমন আনন্দের, তেমন গর্বের।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *