আজ খবর ডেস্ক- “আপনে কেয়া সোচা, পুষ্পা ইজ ফ্লাওয়ার? পুষ্পা ইজ ফায়ার”। ব্যাস। এই সংলাপই আপাতত মাতোয়ারা আসমুদ্র হিমাচল।
তেলেগু ছবি ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ‘ সত্যি ম্যাজিক দেখাল ।
গোটা দেশ জুড়ে নানান ভাষায় মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। প্রথম সিনেমা হল এবং তারপর ওটিটি প্লাটফর্মে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি।
করোনা আবহে প্রযোজকের ঘরে বিপুল অর্থ ঢুকেছে।বস্তুত, দক্ষিণী তারকা প্রভাস অভিনীত “বাহুবলী”র পরে ইদানীংকালের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে “পুষ্পা”। এমনটাই মত ফিল্ম জগতের।
আরেক দক্ষিণী তারকা অভিনেতা আল্লু অর্জুন এই ছবিতে পুষ্পা চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
পিতৃহীন পুষ্পা সাধারণ ট্রাকচালক থেকে ক্রমে হয়ে ওঠে স্থানীয় অপরাধজগতের প্রভাবশালী নেতা। ছবিটিতে আরও অভিনয় করেছেন ফাহাদ ফজিল, রশ্মিকা মন্দানা, প্রকাশ রাজসহ অনেকে। একটি আইটেম ডান্সে মাতিয়ে দিয়েছেন সামান্থা রুথপ্রভু।
ছবির মূল প্রেক্ষাপটে রয়েছে সোনা পাচারকারী একচি বিশাল দল। যাদের বিরুদ্ধে বনের এক আদিবাসী কাঠমিস্ত্রি ও লরি ড্রাইভার পুষ্পা রাজ প্রতিবাদ করে। এই পুষ্পা রাজের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আল্লু অর্জুন। তাঁর উল্টোদিকে অভিনয় করেন ফাহাদ ফাসিল। তিনি মালায়ালাম সুপারস্টার।
নবীন ইয়ারনেনি ও রবি শঙ্কর প্রযোজনা করেছেন ছবিটি। এটি প্রথম পর্ব মুক্তি পেয়েছে। এখন অপেক্ষা দ্বিতীয় পর্ব মুক্তির।
ঘটনা সত্যি চমকপ্রদ। কারণ, শুরুতে তেমন প্রচার না থাকার পরও কেন এত জনপ্রিয় ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’?
বিনোদনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বলিউড হাঙ্গামার খবর, হিন্দি ভার্সন নিয়ে তেমন প্রত্যাশা না থাকলেও গত ৪ সপ্তাহে ৮৪ কোটি টাকা রোজগার করেছে এই অ্যাকশন থ্রিলার।
এই ফিল্মের হিন্দি স্বত্ব কিনেছেন গোল্ডমাইনস টেলিফিল্মসের কর্ণধার মনীশ শাহ। আর তাতে বেশ লাভ করেছেন তিনি। প্রায় বিনিয়োগের সমপরিমাণ।
সূত্রের খবর, ২৮ কোটি টাকা দিয়ে ‘পুষ্পা : দ্য রাইজ পার্ট ১’ সিনেমার হিন্দি স্বত্ব কিনেছেন মনীশ শাহ। ডাবিং বাবদ তিনি খরচ করেছেন প্রায় ৫ কোটি টাকা। ডিজিটাল প্রযুক্তি, মুক্তিসহ আনুষঙ্গিক খরচ হয়েছে ১১ কোটি । সেই হিসাবে তিনি মোট বিনিয়োগ করেছেন ৪৪ কোটি টাকা।
এদিকে বেশ কিছুদিন আগে, এই ছবির আইটেম ডান্স নিয়ে খবরে এসেছিলেন অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। এই ছবিতে একটি নাচের জন্য মোটা টাকা হেঁকেছিলেন তিনি। একটা পারফরমেন্সের জন্য নাকি ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন সামান্থা।
বারবার বলিউড ছবিকে টেক্কা দিচ্ছে দক্ষিণী ছবি। কী করে?
গবেষণা বলছে, দক্ষিণী ছবির প্রতি কলকাতার দর্শকদের আগ্রহ বেশ বেড়েছে। অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি কলকাতা শহরেও চলছে এই ছবি। তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম, কন্নড়ের পাশাপাশি হিন্দিতেও মুক্তি পেয়েছ ছবিটি। শহর ও শহরতলীর ২১টি প্রেক্ষাগৃহে হিন্দিতে ও ৮টি প্রেক্ষাগৃহে তেলেগুতে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। আর এই ছবি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে পৌঁছেছেন বাঙালি সিনেপ্রেমীরা।
আল্লু অর্জুন অভিনীত এই ছবিটি ভালোবাসা পেয়েছে বাঙালি দর্শকদের থেকে।
লাল চন্দনকাঠের চোরাকারারি পুষ্পা রাজের কাহিনি নিয়ে তৈরি এই ছবি। মুক্তির পরই বিশ্বজুড়ে ৫০ কোটির ব্যবসা করেছে। মুম্বইয়ে দেড় কোটি, তামিলনাড়ুতে ৪ কোটি, কর্নাটকে ৩.৬০ কোটি, পশ্চিম বঙ্গে ২৪ লক্ষ টাকার ব্যবসা করেছে ছবিটি।