আজ খবর ডেস্ক- লাইনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই বুড়ো হয়ে যাব ! – এই বিরক্তির সুর আপামর ভারতবাসীর চেনা। টিকিট কাউন্টার থেকে রেশন দোকান এই ছবি সর্বত্রই দেখা যায়। এমনকি করোনা আবহে অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে শপিং মলের বাইরেও লাইনের ব্যবস্থা চোখে পড়েছে। কিন্তু বিরক্তিকর এই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাও যে কারোর পেশা হতে পারে , তা কখনও ভেবে দেখেছেন ?

বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্যি। ইংল্যান্ডের যুবক ফ্রেডি বেকিটের পেশাই হল লাইনে দাঁড়ানো। এই পেশাত থেকেই তার দিনে গড়ে আয় হয় ১৬ হাজার টাকা। চমকে যাচ্ছেন ? কী ভাবে সম্ভব?

অনলাইনের যুগে লাইনে দাঁড়ানোর ব্যাপারটা অনেকটাই কমে গিয়েছে। তবে এখনও অনেক মানুষ আছেন যারা ইন্টারনেটের উপর পুরোপুরি আস্থা রাখতে পারেন না। তাই অগত্যা দাড়াতে হয় লাইনে। কিন্তু একদল মানুষ রয়েছেন, যারা বেশ ব্যস্ত, এবং অনলাইনের জটিলতা পছন্দ না হলেও লাইনে দাঁড়ানোর মতো সময়ও নেই তাঁদের কাছে। এমন মানুষদেরই মুশকিল আসান করেন বছর একত্রিশের ফ্রেডি। যাঁদের বয়স হয়েছে বা সন্তান , আত্মীয়স্বজন কাছে নেই কিন্তু অর্থবান। তাঁদের হয়েই মিউজিয়ামের থেকে থিয়েটার, ট্রেন থেকে বিমানের টিকিট কাউন্টারের, লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন ফ্রেডি। শুধু এমন মানুষই নয়। সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মান অনেক কম বয়সী ছেলমেয়েদের শখের আবদার মেটাতেও এই কাজ করে থাকেন তিনি । আর কাজের শেষে হাতে টিকিট ধরিয়ে দিয়ে বুঝে নেন নিজের টাকা।

এই বিষয় ফ্রেডি বেকিট বলেন, “আমি দিনে আট ঘণ্টা কাজ করি। প্রবীণ ধনী ব্যক্তিরা আমার কাস্টোমার। কোথাও হয়তো চিত্র প্রদর্শনী চলছে, আমি লাইনে দাঁড়িয়ে তাঁদের জন্য টিকিট কেটে রাখি। তাঁরা প্রদর্শনী শুরু হওয়ার সময় এসে আমার থেকে টিকিট সংগ্রহ করে নেন। বিনিময়ে আমার প্রাপ্য মিটিয়ে দেন। এমন নানারকম লাইনে দাঁড়ানোর কাজ আমি করে থাকি।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *