আজ খবর ডেস্ক- একদিকে যখন ভারত এবং বাংলাদেশে মানুষ ব্যস্ত দুর্গাপূজা নিয়ে, ঠিক সেই মুহূর্তেই কুমিল্লায় দুর্গা মন্ডপে হামলার অভিযোগে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল দুই দেশে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে সে দেশের সরকার।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। কোনও ধর্মের তরফ থেকেই যদি কিছু ব্যক্তি অসাধু প্রক্রিয়ায় উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করে তা বরদাস্ত করবে না সরকার এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রথমে কুমিল্লার একটি মণ্ডপ থেকে এই সমস্যা শুরু হলেও পরে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই অশান্তি এবং উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে এই রাজ্যের বিজেপি নেতারাও একের পর এক সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করতে থাকেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন। “সনাতনী হিন্দু”দের উপর অত্যাচারের কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান জানান, কুমিল্লার পুজো মণ্ডপের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে। চাঁদপুরের হাজিগঞ্জে চারজন নিহত হয়েছেন। সব জায়গাতেই নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফারুখ ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, জনগণের দৃষ্টি অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতেই কুমিল্লার ঘটনা ঘটান হয়েছে।
অনেকেই বলছেন সামাজিক মাধ্যমে এই গুজব ছড়ানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ধর্মীয় ভাবাবেগ অবমাননার জন্য কুমিল্লায় মণ্ডপে উত্তেজনা ছড়িয়ে ছিল এমনটাই খবর পাশাপাশি যে ক’টি জায়গায় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেই সব জায়গায় অস্ত্রধারী পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।