আজ খবর ডেস্ক:
CPIM-Tihar বঙ্গ রাজনীতিতে গুড়-বাতাসাকে জনপ্রিয় করেছেন তিনি। তিনি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। একদা বীরভূমের এই “বেতাজ বাদশা” অধুনা তিহাড় জেল (Tihar Jail) নিবাসী। আর ও প্রায় চার মাস সেখানেই কাটবে তাঁর।

বৃহস্পতিবার সেখানেই অভিনব অভিযান চালালো বঙ্গ সিপিএমের (CPIM) একদল নেতাকর্মী। কলকাতা থেকেই নাকি তাঁদের পরিকল্পনা ছিল অভিযানের। সেইমতো ভেলি গুড় আর বাতাসা হাতে তিহাড় জেলে পৌঁছে যান তাঁরা। CPIM-Tihar

২০১৬ র বিধানসভা নির্বাচন হোক অথবা ১৮র পঞ্চায়েত নির্বাচন। চড়াম চড়াম ঢাক আর গুড় বাতাসাকে জনপ্রিয় করেছিলেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি। ভোট মানেই লাল মাটির এই জেলায় অনুব্রত রাজ চলেছে ২০২১ পর্যন্ত। মনোনয়ন জমা পর্যন্ত করতে পারেনি বিরোধী শিবির।
ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়ে আপাতত তিহাড়ের বাসিন্দা অনুব্রত। বঙ্গ সিপিএমের ৬ নেতা, যাঁরা মূলত কলকাতা পুরসভার কর্মী এদিন পৌঁছে গিয়েছিলেন তিহাড় জেলে।
আসলে বুধবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে ছিল বাম শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর সংগঠনের মহাসমাবেশ। সমাবেশে যোগ দিতে বাংলা থেকেও কয়েক হাজার সিপিএম কর্মী দিল্লি গেছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা নাগাদ ২৫ টাকার সাদা বাতাসা আর ১৫ টাকার ভেলি গুড় নিয়ে অনুব্রতকে দেখতে যান সিপিএমের শ্রমিক সংগঠনের ৬ সদস্য। aajkhobor.com কে সঞ্জয় ঘোষাল জানান, দিল্লি কালী মন্দির থেকে তিহাড় জেলে যাওয়ার পথে বাজার থেকে গুড় বাতাসা কেনেন তাঁরা। মোট খরচ হয়েছে ৪০টাকা।
যদিও সঞ্জয় ঘোষাল, অজিত দাস, মহম্মদ সেলিম, বিজয় দত্ত, নারায়ণ দলুই এবং কালাচাঁদ দাসকে দিল্লির এই হাইপ্রোফাইল জেলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

সঞ্জয় ঘোষাল বলেন, “প্রথমে জেলের সদর দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা নিরাপত্তা রক্ষী এনকোয়ারি গেটে যেতে বলেন। কিন্তু সেই গেটে নিরাপত্তারক্ষীরা বিনয়ের সঙ্গেই জানিয়ে দেন, এভাবে গুড়-বাতাসা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, আদালতেরও নির্দেশ রয়েছে যে অনুব্রত মণ্ডলকে বাইরের খাবার দেওয়া যাবে না। এমনকী ওষুধ ও না। তাই আমরা কিছু ছবি তুলে ফিরে আসি।”

তবে অনুব্রতকে গুড়-বাতাসা পৌঁছে দিতে না পারলেও, বঙ্গ সিপিএম নেতাদের এই অভিনব রাজনৈতিক প্রতিবাদ বেশ নজর কেড়েছে সব মহলের।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *