আজ খবর ডেস্ক : আরিয়ানের জামিন প্রসঙ্গে এবার নিজের ছেলে মেয়েদের নিয়ে মুখ খুললেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা, তথা প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্‌হা। বললেন, ‘‘আমার সন্তানরা— সোনাক্ষী, লব, কুশ, কারও মাদকের বদভ্যাস নেই। আমি তাদের নিয়ে গর্বিত। আমি জানি, তাদের লালন পালনে কোনও ত্রুটি রাখিনি। আমি নিজেও মাদক-বিরোধী প্রচার চালাই।’’ সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, ‘এই ব্যাপারে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। আমার ছেলেমেয়ে লব-কুশ এবং সোনাক্ষীর বেড়ে ওঠা খুব ভালো মতো হয়েছে। ওদের নিয়ে আমি গর্ব বোধ করি। এই ব্যাপারে ওদের নিয়ে না কখনও কিছু শুনেছি, না কখনও দেখেছি।’

এক সর্বভারতীয় সংবাদ প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, শত্রুঘ্নকে প্রশ্ন করা হয়, সেলিব্রিটিদের ক্ষেত্রে তাদের কাজের ব্যস্ততার মধ্যে সন্তানদের সঠিক পথে পরিচালিত করা ঠিক কতটা চ্যালেঞ্জিং? তার উত্তরে অভিনেতা বলেন, ‘সুযোগ থাকুক আর না থাকুক, তবে এমনটা কখনই হওয়া উচিত না। আমি প্রথম থেকেই মেনে চলি, সকলকে বলিও, তামাক বিরোধী ক্যাম্পেন করি। আমি সব সময়ই মাদক এবং তামাককে এড়িয়ে চলার কথা বলি’।সেই সঙ্গে তিনি বাকি অভিভাবকদেরও এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে বলেন, যে তাদের সন্তানেরা যেন কোন সময় একা বোধ না করে। কারণ একাকীত্ব থেকে সাধারণত কম বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে খারাপ সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বাড়ে।

এর আগে আরিয়ানের গ্রেফতারির পর শাহরুখ খানের কঠিন সময়েও তাঁর পাশে দাড়াতে দেখা গিয়েছিল শত্রুঘ্ন সিন্‌হাকে। বলেছিলেন, ‘‘শাহরুখের এই কঠিন সময়ে বলিউডের সহকর্মীরা তাঁর পাশে দাঁড়াচ্ছেন না। সবাই ভাবছেন, এটা তাঁর সমস্যা। তিনিই বুঝে নিন। ইন্ডাস্ট্রিতে সকলেই ভিতু।” শত্রুঘ্ন অবশ্য বলেছিলেন, আরিয়ান শাহরুখের ছেলে বলে ওকে ক্ষমা করা উচিত নয় ! তবে শেষে আরিয়ানের জামিন প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, ‘ন্যায় বিচার হওয়ার প্রয়োজন ছিল। সেটাই হয়েছে’।

প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, শাহরুখ পুত্রের গ্রেপ্তারির বরাবরই বিরোধী ছিলেন শত্রুঘ্ন। তাই আরিয়ানের জামিনের পর তিনি প্রতিক্রিয়া দেন, ‘আমি তো শুরু থেকেই এই বিষয়ে মুখ খুলেছিলাম। এবং আরিয়ান খানের সঙ্গে যেটা হচ্ছিল, সেটার বিরুদ্ধে ছিলাম। আমার প্রথম থেকেই মনে হচ্ছিল, কোনও নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে আরিয়ান খানকে হয়রান করা হচ্ছে। আমার তো মনে হয়, পুরো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আমিই একমাত্র যে সবসময় আরিয়ান খানের পাশে ছিলাম। অন্যদেরও এই বিষয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছিলাম যে এটা অন্যায় হচ্ছে। আজ আমাদের বিচার ব্যবস্থা আরও একবার প্রমাণ করে দিল, তার সিদ্ধান্তই সর্বোচ্চ শুধু নয়, যথার্থও বটে।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *