আজ খবর ডেস্ক : ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার হিসেবে বাংলা সাহিত্যে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন হাসান আজিজুল হক। ১৯৬০-এর দশক থেকেই লেখালিখি শুরু করলেও, প্রথম উপন্যাস লেখেন ২০০৬ সালে।
২০০৬ সালে তাঁর আগুনপাখি উপন্যাসটি প্রকাশ্যে আসতেই দুই বাংলা জুড়ে রীতিমত আলোড়ন ওঠে। এরপর ওই উপন্যাসটির জন্য ওপার বাংলার অন্যতম প্রধান কথাকার, এপার বাংলার অন্যতম প্রধান সাহিত্য সম্মান ‘আনন্দ পুরস্কার’ পান।

মূলত ছোটগল্পকার হাসান আজিজুল হক এছাড়াও বেশ কয়েকটি উপন্যাস লিখেছেন। ২০১৩ সালে সাবিত্রী উপাখ্যান। ২০১৫ সালে তাঁর শামুক নামক যে উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়, সেটি অবশ্য তাঁর বহু আগের রচনা। ওইটি ১৯৫৭ সালে তিনি লিখেছিলেন ‘মানিক স্মৃতি পুরস্কার’ প্রতিযোগিতার জন্য। তখন এটির একটিই মাত্র অংশ প্রকাশিত হয়েছিল।
এছাড়া ১৯৯১ সালে বৃত্তায়ন নামের একটি নভেলেট লিখেছিলেন তিনি।

তিনি ছোটগল্প লেখা শুরু করেছিলেন পঞ্চাশের দশকেই। প্রথম নভেলেট প্রকাশের আগেই প্রকাশিত হয়েছিল তাঁর সাতটি গল্পগ্রন্থ –

১) সমুদ্রের স্বপ্ন শীতের অরণ্য,১৯৬৪
২) আত্মজা ও একটি করবী গাছ,১৯৬৭
৩) জীবন ঘষে আগুন,১৯৭৩
৪) নামহীন গোত্রহীন,১৯৭৫
৫) পাতালে হাসপাতালে,১৯৮১
৬) নির্বাচিত গল্প,১৯৮৭
৭) আমরা অপেক্ষা করছি,১৯৮৮

হাসান আজিজুল হক যেমন একজন বিশিষ্ট কথাকার ছিলেন, তেমনই একজন অধ্যাপক ও বিশিষ্ট প্রাবন্ধিকও ছিলেন।
তাঁর প্রবন্ধ গ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে –

১) কথাসাহিত্যের কথকতা ১৯৮১
২) চালচিত্রের খুঁটিনাটি ১৯৮৬
৩) অপ্রকাশের ভার ১৯৮৮
৪) সক্রেটিস ১৯৮৬
৫) অতলের আধি ১৯৯৮
৬) কথা লেখা কথা ২০০৩
৭) লোকযাত্রা আধুনিক সাহিত্য ২০০৫
৮) একাত্তর : করতলে ছিন্নমাথা ২০০৫
৯) ছড়ানো ছিটানো ২০০৮
১০) কে বাঁচে কে বাঁচায় ২০০৯
১১) বাচনিক আত্মজৈবনিক ২০১১
১২) চিন্তন-কণা ২০১৩
১৩) রবীন্দ্রনাথ ও ভাষাভাবনা ২০১৪

নিজের কর্মজীবনে তিনি বাংলা আকাদেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক সহ একাধিক উল্লেখযোগ্য পুরস্কার লাভ করেছেন। এই বিশিষ্ট অধ্যাপক, কথাকার, প্রাবন্ধিকের প্রয়াণে তাই সাহিত্য জগতে শোকের ছায়া নেমেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *