আজ খবর ডেস্ক- কোল আলো করে যমজ সন্তান এল প্রীতি জিন্টার ঘরে। জমজ সন্তানের মা হতে পেরে অত্যন্ত খুশি প্রীতি। সেই খুশি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে টুইটারে লিখেছেন, ‘আমাদের যমজ সন্তান জয় এবং গিয়া জিন্টা গুডেনাফকে স্বাগত জানাই।’ সিমলার রাজপুত পরিবারে জন্ম প্রীতির। বাবা ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে গাড়ি দুর্ঘটনায় বাবা-মাকে হারানোর পর থেকেই সংগ্রাম শুরু প্রীতির।
সারোগেসি পদ্ধতিতে হয়েছে তাঁর এই যমজ সন্তান। এই খুশিতে উচ্ছ্বসিত হয়ে তিনি চিকিৎসক, নার্স এবং সারোগেট মাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সমাজ মাধ্যমে। জেন গুডেনাফকে বিয়ে করেছিলেন প্রীতি ২০১৬ সালে। এরপর থেকে পাকাপাকি ভাবে লস অ্যাঞ্জেলেসে থাকতে শুরু করেন তিনি। এর আগেও নানারকম সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন প্রীতি জিন্টা, সেগুলি থেকেও ধাক্কা খেতে হয়েছিল তাঁকে বলে জানান তিনি। যেমন প্রীতি জিন্টার সঙ্গে নেস ওয়াদিয়া সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তবে পাঞ্জাব কিংস দলের দু’জনেই মালিক হলেও তাঁদের মধ্যে এখন কোনও সম্পর্ক নেই, তবে মালিকানা রয়ে গিয়েছে। বম্বে ডায়িং, বম্বে বর্মণ ট্রেডিং, ব্রিটানিয়া, গো এয়ারের মতো সংস্থার মালিক ওয়াদিয়া। তাঁর সঙ্গেই দীর্ঘদিন সম্পর্ক ছিল প্রীতি জিন্টার।
সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয় আইপিএল ম্যাচ চলাকালীন। তাঁর হাত ধরে টেনে ছিলেন তাঁর প্রেমিক। এর জন্য গুরুতর চোট লাগে প্রীতির হাতে। ২০১৪ সালের ৩০ মে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নেস তাঁর শ্লীলতাহানি করেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এরপর থেকেই ঘনিষ্ঠতা কমে যায় তাঁদের মধ্যে। শুধু তাই নয়,বেশকিছু পরিচালকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা দেখা গিয়েছিল তাঁর। পরে অবশ্য সেগুলিও টেকেনি। পরিচালক আব্বাস টায়ারওয়ালা, কখনও প্রযোজক ভরত শাহের সঙ্গে ছোটা শাকিলের যোগ নিয়ে মামলা পর্যন্ত গড়ায় প্রীতির দরজায়। বিতর্ক অবশ্য পিছু ছাড়েনি প্রীতি জিন্টার। আব্বাস টায়ারওয়ালা, এবং এমএমএস কান্ড নিয়ে বারবার শিরোনামে এসেছেন তিনি।
অবশেষে অনেকটাই জল্পনার থেকে সরে এসেছেন প্রীতি জিন্টা। আপাতত যমজ সন্তানকে নিয়ে খুশি তিনি। মাঝেমধ্যেই বেড়াতে বেরিয়ে পড়েন স্বামীর হাত ধরে। আপাতত যথেষ্ট হাসি খুশি জীবন কাটাচ্ছেন প্রীতি জিন্টা। তাঁর সমাজ মাধ্যমে শেয়ার করা ছবিগুলো দেখে অন্তত এমনটাই মনে করছে তাঁর ফ্যান মহল। আগামী দিনেও দুই সন্তান এবং স্বামীর সঙ্গে নিজের স্বপ্ন ভাগ করে নিতে চলেছেন প্রীতি জিন্টা বলে জানান তিনি।