আজ খবর ডেস্ক- করোনার টিকা নিয়ে থাকলে পর্যটকরা এবার থেকে প্রবেশ করতে পারবেন থাইল্যান্ডে। থাইল্যান্ড সরকারের তরফ থেকে এমনই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল। তবে দেশে ঢোকার অগ্রাধিকার সব দেশের পর্যটকদের জন্য নয়। যে সকল দেশগুলিতে করোনা সংক্রমণের হার কম, শুধুমাত্র সেই দেশের পর্যটকদের অনুমতি দেওয়া হবে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করার। প্রায় আঠেরো মাস বন্ধ থাকার পর দেওয়া হল অনুমতি।
মূলত যেই দেশগুলিকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, চিন এবং ইউরোপের বেশ কিছু দেশ। সব মিলিয়ে প্রায় ৬০টির বেশি দেশকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে থাইল্যান্ডের তরফে। খুশির খবর এই যে, তাঁদেরকে সেই দেশে পৌছে নিয়ম মেনে হোটেলে নিভৃতবাসে থাকতে হবে না। বরং পুরোপুরি গা ভাসাতে পারবেন পর্যটকরা।
২০১৯ সালে, থাইল্যান্ডের আনুমানিক ৬২ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছিল পর্যটন বিভাগ থেকে। আর সেই লক্ষ্যে মুখ থুবড়ে পড়েছে থাইল্যান্ড। তবে পর্যটন ক্ষেত্র খুলে দেওয়ার পর থেকে অনেকটাই লাভের মুখ দেখবে বলে মনে করছে সে দেশের প্রশাসন। পর্যটন ক্ষেত্র খুলতেই এক লাফে দেড় কোটি ছুঁতে পারে পর্যটকের সংখ্যা।
থাইল্যান্ড সরকারের পর্যটন বিভাগে যে নিম্নমুখী গ্রাফ দেখা দিয়েছে, তাতে রীতিমতো চমকে উঠেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, আগে বছরে চার কোটির কাছাকাছি থাকতো পর্যটকদের সংখ্যা। যা কমে গিয়ে ৮০ শতাংশ। দায়ী করা হয়েছে অতিমারিকে।
প্রসঙ্গত, চিনের তরফ থেকে সবচেয়ে বেশি পর্যটক দেখা যায় থাইল্যান্ডে। ২০১৯ সালের তথ্য বলছে, শুধু চিনা পর্যটক এসেছিলেন ১ কোটি ৪০ লাখের কাছে। তবে চিনের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়নি। তাই পর্যটনের ক্ষেত্রে, দুশ্চিন্তা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি থাইল্যান্ড। তবে তাঁরা আশাবাদী, ২০২৩ সালের মধ্যে ফের স্বমহিমায় ঘুরে দাঁড়াবে পর্যটন ব্যবস্থা। যা থাইল্যান্ডকে এনে দিতে পারে ৩ হাজার কোটি ডলার। আপাতত আসন্ন পর্যটন মরশুমের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন, পর্যটন ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত মানুষজন।