আজ খবর ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে গত ২৮ শে অক্টোবর ২৪৮ টি পুরাকীর্তি ফেরত দেওয়া হলো ভারতকে। যার মোট মূল্য ১৫ মিলিয়ন ডলার। দ্বাদশ শতকের একটি ব্রোঞ্জের শিব নটরাজ মূর্তিও রয়েছে। মার্কিনী তরফ থেকে ভারতে পাঠানো এই সামগ্রীকে এখনও পর্যন্ত মার্কিনী তরফ থেকে “সবচেয়ে বড়” প্রত্নতাত্ত্বিক হস্তান্তর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি (ডিএ) সাই ভ্যান্স, জুনিয়র এই হস্তান্তর প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে জানান, “প্রত্নতাত্বিক সামগ্রীগুলি গত দশকের পাঁচটি ভিন্ন অপরাধমূলক তদন্ত থেকে উদ্ধারকৃত নিদর্শনগুলির অসাধারণ সমাবেশ। যা প্রাচীন এবং আধুনিক ভারতের মধ্যে কালজয়ী সাংস্কৃতিক এবং মহাজাগতিক সেতুকে উপস্থাপন করে।”ভারতের কনসাল জেনারেল রণধীর জয়সওয়াল ম্যানহাটন ডিএ-এর অফিসের কাছে ইতিমধ্যেই এই বিষয় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ভারতের প্রত্নসামগ্রী ফেরত দেওয়ার জন্য সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আগামীদিনে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরো জোরদার করে তুলতে আমরা অনেকটা উৎসাহী হয়ে আছি।”

ভারতে ফেরত আসা সামগ্রী গুলির মধ্যে ২৩৪ টি সামগ্রীই বর্তমানে জেলবন্দি শিল্প ব্যবসায়ী সুভাষ কাপুরের কাছ থেকে তদন্ত মারফত পাওয়া গিয়েছিল।ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়, যে বহু বছর ধরেই ম্যানহাটন ডিএর অ্যান্টিকুইটিস ট্রাফিকিং ইউনিট,এইচএসআই-এর আইনী কর্মকর্তাদের সাথে মিলে আফগানিস্তান, কম্বোডিয়া, ভারত থেকে প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রীর অবৈধ লুট, রপ্তানি এবং বিক্রয়ের জন্য কাপুর এবং তার সহ-ষড়যন্ত্রকারীদের উপর নজরদারি রেখেছিল। এই তালিকায় ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং অন্যান্য দেশেরও নাম রয়েছে।

তদন্তে জানা গেছে, কাপুর ও তার সঙ্গীরা সাধারণত লুট করা পুরাকীর্তি ম্যানহাটনে পাচার করত। তারপর তার ম্যাডিসন অ্যাভিনিউ-ভিত্তিক আর্ট অফ দ্য পাস্ট নামক গ্যালারির মাধ্যমে জিনিসগুলি বিক্রি করত। ২০১১ থেকে ২০২০ পর্যন্ত, ডিএ অফিস ও এইচ.এস.আই-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কাপুর ও তার নেটওয়ার্ক মিলে আড়াই হাজারেরও বেশি আইটেম করেছে। যা ইতিমধ্যেই উদ্ধার করেছেন তারা। উদ্ধারকৃত সামগ্রীর মোট মূল্য প্রায় ১৪৩ মিলিয়ন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *