আজ খবর ডেস্ক- যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। বাংলা টেলিভিশনের বিখ্যাত সেই মিষ্টি হাসি এবং সঙ্গে রকমারি রান্নার রেসিপি নিয়ে আসা সুদিপা চ্যাটার্জীর পরিচিতি আজকের নয়। এবার অভাবনীয় একটি বার্তা সমাজের উদ্দেশ্যে তুলে দিলেন তিনি। নিজের সন্তানের ছবি ফেসবুকে দিয়ে উল্লেখ করে তুলে ধরলেন বহুকাল ধরে চলে আসা উপনয়নের কথা। তাঁর ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখলেন, উপনয়ন মানে ধর্মবোধে অন্ধ হয়ে যাওয়া নয়, বরং এর আসল মানে লুকিয়ে রয়েছে সমাজে বিভিন্ন রকম দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়ার।
শুধু পৈতে বা উপনয়ন নয়, একটি শিশু জন্মানোর পর থেকে সমাজের বিভিন্ন রকম পর্যায়ে ও ধাপে যে সমস্ত নিয়ম আচার-আচরণ পালন করে আসে, তার কথাই স্পষ্ট সুদীপার পোস্টে। কখনও জন্মানোর পর মুন্ডন করা, আবার কখনও ১০০ দিনে নামকরণ করা, এরপর অন্নপ্রাশন, বিবাহ। একেকটি পর্যায়ের কথা তুলে ধরেছেন সুদীপা।
ছবিতে ধরা পড়েছে মিষ্টি হাসির সঙ্গে নরম দস্যিপনা। সুদীপা চ্যাটার্জী সেই একই রকম পুরনো দিনের আচার-আচরণের কথা মনে করিয়ে, তাঁর সন্তানকে সাজিয়েছেন সোনার পৈতে দিয়ে। যদিও তাঁর এই নতুন সাজ ফেসবুকে আসা মাত্রই ভাইরাল হয়ে পড়েছে চারদিকে। কখনও নেটিজেনরা সমালোচনার ঝড় তুলেছেন, আবার কখনও তাঁর সন্তানের এই অসাধারণ ‘লুকস্’কে প্রশংসা করেছেন। সুদীপার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বাঙালিয়ানার পুরনো সংস্কৃতির ছবি উঠে আসে সকলের সামনে।
শুধু পৈতে দিয়ে শেষ নয়, সুদীপ্তার আদরের মডেল সেজেছে সাদা ধুতিতে, সঙ্গে বাদামি বর্ডারের কাজ। সব মিলিয়ে এই শিশু একেবারে পৌঁছে গিয়েছে পুরনো বাঙালি সভ্যতায়। আপাতত এই খুদে আলোড়ন ফেলেছে সমাজ মাধ্যমে। অস্বীকার করার জো নেই, সোনার পৈতে এবং সাদা ধুতিতে বাঙালি বাবুকে লাগছে অসামান্য। সম্প্রতি এক বুটিক খুলেছেন সুদীপা। সেখানে শাড়ির পাশাপাশি সোনার গয়নাও বিক্রি করছেন তিনি। ছেলে আদিদেবকে দিয়ে সেই সোনার পৈতের শ্যুট সম্পন্ন করলেন সুদীপা। জানা যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পোশাকের সঙ্গে বিভিন্ন বাংলার শিল্পকর্ম বিক্রি করে থাকেন তিনি। এবার সংযোজন হল সোনার গয়না। বিভিন্ন গয়না যেগুলি তাঁর দোকানে বিক্রি হয়, সেগুলি তাঁর নিজের হাতেই ডিজাইন করা বলে জানান সুদীপা। আপাতত সব মিলিয়ে যেমন প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি, তেমনই নেটিজেনদের কথার মাঝে ‘ট্রোল’ হতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।