ছবি সংগৃহীত

আজ খবর ডেস্ক- টিভি সিরিয়ালের খোলনলচে বদলাতে চলেছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। তাদের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সেটাই প্রকাশ্যে এসেছে। কোনও সিরিয়ালে প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে খলনায়ক বা খলনায়িকা। কোথাও আবার এক স্বামীর দুই বা তিন স্ত্রী। কোথাও আবার বৌমা কে খাবারে বিষ মিশিয়ে দিচ্ছেন শ্বাশুড়ি। নতুন নিয়ম অনুযায়ী এই ধরনের চরিত্র আর বাংলা বা হিন্দি সিরিয়ালে রাখা চলবে না। এতে প্রতিনিয়ত গৃহ অশান্তি বাড়ছে, এমনটাই দাবি মন্ত্রকের। এখানেই শেষ নয়। দৈনন্দিন জীবনের কূটকচালি চলতে থাকা সিরিয়ালের নতুন এপিসোডগুলোতে আর দেখানো যাবে না।

এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের আন্ডার সেক্রেটারি সোনিকা খট্টর। সমাজকর্মীদের তরফ থেকে বার বার দাবি করা হয়েছে হিন্দি এবং বাংলা সিরিয়ালে সংসারের কূটকচালি, শাশুড়ি বউয়ের ঝগড়া এবং খুনের চক্রান্ত করার মতন বিষয় দেখান চলবে না। এবার কার্যত সেই আবেদনে সাড়া দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

কিন্তু এই বিষয়ে একটি প্রশ্ন উঠে এসেছে সামনে। সিরিয়ালে যদি খলনায়ক বা খলনায়িকা র চরিত্র না থাকে, তবে সেই জনপ্রিয়তা ধরে রাখা সম্ভব হবে কি? বিশেষত খল চরিত্রে অভিনয় করে বহু অভিনেতা খ্যাতি অর্জন করেছেন। “জুন অ্যান্টি”র মত চরিত্র কি তবে ছেটে ফেলতে হবে? এই নিয়ে স দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে টলিপাড়ায়।

ছবি সংগৃহীত

এই ক্ষেত্রে অন্য আরেকটি প্রশ্ন উঠে এসেছে। বাস্তব জীবনেও যেমন নেতিবাচক ঘটনা বা অপ্রিয় মানুষ থাকেন তাহলে সিরিয়ালে থাকলে আপত্তি কী? যদিও এই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে টলিপাড়ার এক বিখ্যাত খলচরিত্র অভিনেত্রী মৌমিতা গুপ্ত বলেন, তাঁরা না থাকলে সিরিয়ালের আসল অংশই আর থাকবে না। দর্শকদের মনে অনেকটাই কমে আসবে সিরিয়াল দেখার আনন্দ।

এখনও পর্যন্ত সঠিকভাবে বলা সম্ভব হয়নি কবে থেকেই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। তবে যারা এতদিন সাপে-নেউলে ছিলেন হঠাৎ করে চরিত্রের শেড বদল করে দিলে, তাঁরা হয়ে উঠবেন একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বা আপনজন।যদিও হঠাৎ করে এই পরিবর্তন সাধারণ দর্শক কতটা মেনে নেবেন সেই নিয়ে চিন্তা থেকেই যাচ্ছে অভিনেতা থেকে পরিচালকদের।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *